কীভাবে বুঝবেন রাহুর অশুভ প্রভাব রয়েছে আপনার ওপর? জানুন এর লক্ষণ ও বাঁচার উপায়
কীভাবে
বুঝবেন
রাহু
অশুভ
আপনার
ওপর?
জানুন
এর
লক্ষণ
ও
বাঁচার
উপায়
রাহুকে
জ্যোতিষ
শাস্ত্রে
পাপগ্রহ
বলে
মনে
করা
হয়।
রাহু
খুবই
প্রভাবশালী
গ্রহ।
এই
গ্রহকে
খুবই
প্রভাবশালী
গ্রহ
বলে
মনে
করা
হয়।
এই
গ্রহকে
কলিযুগে
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
গ্রহ
হিসাবে
মনে
করা
হয়।
রাহুকে
মায়াবী
গ্রহও
বলা
হয়ে
থাকে।
রাহুর
বিষয়ে
বলা
হয়
যে
জীবনে
হঠাৎ
করে
যখন
কিছু
হয়
তখন
এর
পিছনে
এই
গ্রহের
হাত
থাকে।
এই
গ্রহ
যে
কোনও
কাউকে
দরিদ্র
থেকে
রাজা
এবং
রাজা
থেকে
দরিদ্র
বানিয়ে
দিতে
পারে।
রাহু
অশুভ
বলে
এটা
বিভ্রম
ও
অশান্তিও
দিতে
পারে।
রাহুদেবের বৈশিষ্ট্য
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সমস্ত গ্রহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ হল রাহু। রাহু আবার দৈত্যদের সেনাপতি পদেও আসীন। অন্য দিকে জ্যোতিষশাস্ত্রের একাধিক গ্রন্থে রাহুকে আধ্যাত্মিক গ্রহ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এর শুভ প্রভাবের ফলে সমস্ত ধরণের সাংসারিক প্রতিষ্ঠা, বৈভব, প্রাশসনিক কার্যকুশলতা, রাজনীতি ও কূটনীতিতে সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। আবার রাহু অশুভ পরিণাম দিলে, সুখ, বৈভবের অভাবের পাশাপাশি জাতককে অযথা আইন-আদালতের মামলায় জড়িয়ে থাকতে হয়।
রাহু অশুভ হলে তা কীভাবে বুঝবেন
রাহু যখন অশুভ থাকে তখন অনেক ধরনের সমস্যা দেয়। রাহু অশুভ হলে তা অশান্তি বাড়িয়ে দেয়। ব্যক্তির মনে বাজে চিন্তা আসতে থাকে। জমানো টাকা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। কোনও কাজে সফলতা পাওয়া যায় না। সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে এবং কথাবার্তাও বাজে হয়ে যায়। ব্যক্তি বাজে সঙ্গতে ফেঁসে যায়। নেশা করতে শুরু করে। চরিত্র খারাপ হতে শুরু করে। ক্রোধ বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি স্বচ্ছতার নিয়ম পালন করে না। অন্ধকারে ও একা থাকতে পছন্দ করেন তাঁরা।
রাহু অশুভ হলে সাবধান হয়ে যান
জীবনে যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলি যদি অনুভব করতে থাকেন তাহলে দ্রুত সাবধান হয়ে যান। এটা আপনার জন্য বিপদের সঙ্কেত নিয়ে এসেছে। রাহুর প্রভাব জীবন থেকে কম করার চেষ্টা করুন। কুণ্ডলীতে রাহু কোন অবস্থানে রয়েছে তার খোঁজ করুন এবং দেখু রাহুর ফলে কালসর্প যোগ, পিতৃদোষ, চণ্ডাল যোগ, গ্রহণ যোগ, অঙ্গারক যোগের মতো অশুভ যোগ তৈরি হয়নি তো। যদি এরকম হয়ে থাকে তবে বিধি অনুযায়ী তার সমাধান করুন।
রাহুর উপায়
রাহুকে ঠিক রাখার জন্য আপনাকে এই উপায়গুলি করতে হবে-
-শরীরে
জলের
অভাব
যেন
না
থাকে
-রান্নাঘরে
বসে
খাবার
খান
-কুকুরের
সেবা
করুন
-জল
দান
করুন
-মাদক-মদ
ও
ধূমপান
থেকে
দূরে
থাকুন
-বাড়িঘর
পরিষ্কার
রাখুন
-সময়ে
সময়ে
নখ-দাঁড়ি
কাটুন,
পরিষ্কার
পোশাক
পরুন।
-অনুশাসনময়
জীবন
ধারণ
করুন
-বড়দের
সম্মান
করুন
-জ্ঞান
বৃদ্ধি
করুন
-ভালো
গান
শুনুন
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)