মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে হলে ত্যাগ করুন এইসব স্বভাব, তবেই সম্পদে পরিপূর্ণ হবে জীবন
ত্যাগ করুন এইসব স্বভাব
পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষ চান যে তাঁর জীবনে সর্বদা ধন সম্পত্তির পরিমান পর্যাপ্ত ভাবে বজায় থাকবে। সকলেই অর্থ উপার্জনের জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। জীবন ধারণের জন্য অর্থ উপার্জন এবং জীবনে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমান বজায় থাকা অত্যন্ত জরুরী। তাই শুধুমাত্র টাকা রোজগার করলেই হবে না, সেটিকে জীবনে সঠিক ভাবে সঞ্চয় করে রাখাও খুব দরকার। কিন্তু অনেকেই এমন আছেন যারা অনেক চেষ্টা করেও এমনকি পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করেও পরিমান মত অর্থ জীবনে রাখতে পারেন না। এমনকি তাঁদের জীবনে অর্থ রোজগার করার পরেও আসে আর্থিক সমস্যা। কিন্তু শাস্ত্র মতে এর প্রতিকারও আছে। জীবনে এই সামান্য কিছু বিষয় মেনে চললেই সব কষ্টের নাশ হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থের পরিমানও বজায় থাকবে বাড়িতে।
খাবার নষ্ট না করা
অনেকেই আছেন যারা কারণে অকারণে খাবার নষ্ট করে থাকেন। প্রয়োজন ছাড়াই বেশি পরিমানে খাবার নিয়ে সেগুলিকে ফেলে দেন। আবার বর্তমান সমাজে অনেকেই আছেন যারা কোনও স্থানে খেতে গিয়ে খাবার অর্ধেক খেয়েই প্লেটে ছেড়ে রাখেন। কিন্তু সবাই জানেন কি? এই কাজ ঠিক কতটা রুষ্ট করে মা লক্ষ্মীকে! যদি সর্বদা দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে চান তবে কখনই খাবার নষ্ট করা উচিৎ নয়। অন্নের অপচয়ের কারণে মা অন্নপূর্ণা ক্রোধিত হন। এবং দেবী লক্ষ্মীও এর ফলে খুব কুপিতা হন। ফলে এই কাজ করলে জীবনে একসময় অর্থ কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
দুঃস্থদের সাহায্য করা
সমাজের পিছিয়ে পড়া দুঃস্থদের সাহায্য করা কোনও ব্যক্তির জীবনে খুব শুভ ফল দান করে বলে মনে করা হয়। যারা সর্বদা অন্যদের সাহায্য করেন, তাদের অর্থের সদ্ব্যবহার করেন এবং তাদের মনে অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞতার অনুভূতি থাকে, মা লক্ষ্মী সর্বদা তাদের প্রতি সদয় হন।
বাড়িতে ঝগড়া না করা
যে কোনও বাড়িতে যদি অতিরিক্ত ক্লেশ থাকে তাহলে সেখানে বসবাসকারী ব্যক্তিদের জীবনেও কখনও শান্তি থাকেনা। সেইসব বাড়ি থেকে মা লক্ষ্মী ক্রোধিত হয়ে চলে যান বলে মনে করা হয়। ঠিক তেমনই মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয় সেই সব বাড়িতে যেখানে প্রেম আছে। মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে বাস করে। তাই স্বামী-স্ত্রীর উচিত পরস্পরকে সর্বদা ভালোবাসা ও সম্মান দেওয়া। বাড়িতে কখনও অজথা ঝগড়া করা উচিত নয়, নইলে ঘরে দারিদ্র্য আসতে সময় লাগবে না।
অর্থের অপব্যয় করা
বহু মানুষ আছেন যারা পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করার পর তা যথেচ্ছ ভাবে ব্যয় করেন। কারণে অকারণে টাকা খরচ করেন। কিন্তু শাস্ত্র মতে অর্থের অপচয় করা একদমই উচিত নয়। অর্জিত অর্থ দরকারী এবং সময়মতো বৃদ্ধি পায় যখন তা অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করা খুব অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই সবসময় আরামদায়ক জীবনযাপনের জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট তৈরি করে অর্থ ব্যয় করা উচিৎ। নাহলে জীবনে আসতে পারে আর্থিক কষ্ট।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ ও শাস্ত্রে বর্ণিত তথ্যের উপর নির্ভরশীল)
এই চার রাশির জীবনে প্রেম ও ব্রেকআপ লেগেই থাকে, এর মধ্যে আপনার জীবনসঙ্গী নেই তো?