Ganesh Chaturthi 2021: গণেশ পুজোর দিন ভুলেও আকাশের দিকে তাকিয়ে এই কাজটি করবেন না
Ganesh Chaturthi 2021: গণেশ পুজোর দিন ভুলেও আকাশের দিকে তাকিয়ে এই কাজটি করবেন না
অগাস্ট মাস প্রায় শেষ। সেপ্টেম্বর পড়তেই গোটা দেশে শুরু হয়ে যাবে গণেশ চতুর্থী। আগে কেবল মহারাষ্ট্রেই বড় করে উদযাপিত হত গণেশ চতুর্থী। এখন সেটা গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাতেও গণেশ পুজো শুরু হয়েছে পাড়ায় পাড়ায়। এই বছর ১০ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হবে গণেশ চতুর্থী। শুক্রবার পড়েছে দিনটি।
কবে গণেশ পুজো
ভাদ্র ও মাঘমাসের শুক্লাচতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। হিন্দু ধর্মে এই দিনটি গণেশের জন্মদিন হিসেবে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে গণেশের জন্মেও একটি বড় কাহিনী রয়েছে। পার্বতীর গর্ভে জন্ম হয়নি গণেশের। পার্বতীর গায়ের ময়লা দিয়ে একটি বালকের মূর্তি গড়ে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবং স্নানে িগয়ে সেই বালককে বলেছিলেন পাহারা দিতে। গণেশ সেটাই করছিল। হঠাৎই সেসময় শিব এসে পড়েন। তিনি ভেতরে প্রবেশ করতে চান। কিন্তু গণেশ তাঁকে কিছুতেই ঢুকতে দেবে না। শেষে রেগে গিয়ে গণেশের মাথা ত্রিশূল দিয়ে কেটে দিয়েছিলেন শিব। তাই দেশে দুর্গা তো কান্না কাটি জুড়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত একটি হাতির মুখ নিয়ে এসে গণেশের দেহে বসিেয় দেওয়া হয়।
কোথায় হয় পুজো
গণেশ চতুর্থী সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তর প্রদেশে এই উৎসব হয় খুবই ধুমধাম করে৷ বাড়িতে স্থাপন করা হয় গণেশের মূর্তি। গণেশ পুজো চলে দুই থেকে দশ দিন। মহারাষ্ট্রে গণেষ পুজো সবচেয়ে বেশি ধুমধাম হয়। এবছর ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পড়েছে গণেশ পুজো। গত বছর করোনার কারণে মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজো জৌলুস হারিয়েছি। ছোট করে পুজো হয়েছিল সব জায়গায়। গণেশ চতুর্থী বিনয়াক চতুর্থী বা গণেশ পুজো নামেও পরিচিত।
গণেশ পুজোর দিন চাঁদ দেখতে নেই
গণেশ চতুর্থীর দিন গোটা দেশ উৎসবে মাতলেও সেদিন ভুলেও যেন কেউ চাঁদ না দেখেন। এদিন কেউ চাঁদ দেখলে তাঁর জীবনে ঘোর অমঙ্গল নেমে আসে। এদিন চাঁদ দেখলে অভিশাপ নেমে আসে জীবনে। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যে ব্যক্তি চাঁদ দেখেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ ওঠে। দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় তাঁেক। তাই ভুলেও এই দিন যেন কেউ চাঁদের দিকে না তাকান। নাহলেই জীবনে ঘোর বিপদ ডেকে আনবেন।
কেন চাঁদ দেখতে নেই
গণেশ
পুজোর
দিন
চাঁদ
দেখতে
না
বলার
বেশ
কয়েকটি
কাহিনী
শোনা
যায়।
সর্বপ্রথমে
গণেশ
ত্রিলোক
পরিক্রমা
করেছিলে।
তাই
দুর্গা
খুশি
হয়ে
বলেছিলেন
তাঁর
পুজো
প্রথম
করা
হবে
যেকোনও
পুজোর
আগে।
এরপর
সমস্ত
দেবতা
তাঁর
উপাসনা
হবে।
কথিত
আছে
গণেশকে
দেখে
চন্দ্র
হেসেছিলেন।
কারণ
চন্দ্র
তখন
নিজের
সৌন্দর্যে
গর্বিত
ছিলেন।
অন্যান্য
দেবদেবীদের
মতো
চাঁদ
গণেশের
উপাসনা
না
করায়
গণেশ
রেগে
চন্দ্রকে
অভিশাপ
দিয়েছিলেন।
তিনি
চন্দ্রকে
অভিশাপ
দেন
যে
আজ
থেকে
তুমি
কালো
হয়ে
যাবে।
চন্দ্র
তার
নিজের
ভুল
বুঝতে
পারে
এবং
গণেশের
কাছে
ক্ষমা
প্রার্থনা
করে।
তার
বারংবার
ক্ষমা
প্রার্থনার
ফলে
গণেশ
তাঁকে
মুক্তি
দিলেও
একটি
সময়চক্র
তৈরী
করে
দেন।
যাতে
১৫
দিন
অন্তর
অন্তর
চন্দ্র
একবার
সম্পূর্ণরুপে
প্রকাশিত
হবেন
এবং
একবার
করে
অদৃশ্য
থাকবেন।
অন্য কাহিনী কী বলে
গণেশ চতুর্থীতে প্রতি বাড়িতে মোদক ভক্ষণ করে ভরা পেটে ইঁদুরে চেপে ফিরছিলেন গণেশ। পথে ইঁদুরের সামনে একটি সাপ এসে পড়লে সে ভয়ে কাঁপতে শুরু করে। এতে গণেশ পড়ে যান ও তার পেট ফেটে সব মোদক রাস্তায় পড়ে যায়। গণেশ উঠে সেগুলি কুড়িয়ে পেটের মধ্যে পুরে পেটের ফাটা জায়গাটি ওই সাপ দিয়ে বেঁধে দেন। আকাশ থেকে চন্দ্র তা দেখে হেসে ফেলেন। তাই গণেশ শাপ দেন যে চতুর্থীর দিন চাঁদ কেউ দেখবে না। আরেকটি কাহিনীতে আবার বলা হয় শিব গণেশকে লুকিয়ে কার্তিককে একটি ফল দিয়েছিলেন। চন্দ্র তা দেখে হেসে ফেলেন বলে শিব চন্দ্রকে অভিশাপ দেন গণেশ চতুর্থীর দিন তাঁকে কেউ দেখবে না।