আপনি কি বাড়িতে গণেশ পূজা করেন, তাহলে এই তথ্যগুলি জেনে রাখা ভালো
গণেশ পুজোয় সবচেয়ে বড় বিষয় হল প্রসাদ। গণেশের জন্য বিশেষ প্রসাদ না তৈরি করলে এই সিদ্ধিদাতা দেবতা রুষ্ট হন বলে কথিত রয়েছে।
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে মহাসমারোহের আয়োজন। বিশেষত দক্ষিণভারতে গণেশ চতুর্থী ঘিরে ধুমধাম আর জাঁকযমক কিছু কম নয়। তবে শুধু মহারাষ্ট্র বা অন্ধ্রপ্রদেশ , তামিলনাড়ু নয়, গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্য়ে এরাজ্যেও বহু জায়গায় পূজার আয়োজন করা হয়। অনেকেই তাঁদের বাড়িতে আড়ম্বরে করে থাকেন এই পূজা।
[আরও পড়ুন:মুম্বইয়ের বিখ্যাত 'লালবাগুচা রাজা'-র গণেশ মূর্তি এবার বিষ্ণু অবতারের আদলে, দেখুন ছবি]
গণেশ পুজোয় সবচেয়ে বড় বিষয় হল প্রসাদ। গণেশের জন্য বিশেষ প্রসাদ না তৈরি করলে এই সিদ্ধিদাতা দেবতা রুষ্ট হন বলে কথিত রয়েছে। তাই গণেশপুজোতে যে প্রসাদগুলি পরিবেরসনের রীতি রয়েছে সগুলি জেখে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন:বাস্তুশাস্ত্র মেনে গণেশ চতুর্থীতে পালন করুন এই নিয়ম, বাড়িতে আসবে সমৃদ্ধি]
গণেশের খাবার ও পৌরানিক কাহিনি
শিবপূরামে বর্ণিত রয়েছে, ধনী কুবের একবার আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন গণেশকে। দেখা যায় যে , সমস্ত খাবার খেয়েও সন্তুষ্ট হন না গণেশ। শেষে তাঁকে মোয়া খেতে দেওয়া হলে খুবই খুশি হন তিনি। এই কাহিনি থেকে মনে করা হয় যে , খাবার শেষ পাতে কিছু না থাকলে রুষ্ট হন গণেশ।
মোদক
গণেশের আরেক নাম "মোদপ্রিয়"। নারকোল ও গুরের পুরকে ময়দার মধ্যে ঢুকিয়ে তৈরি করা হয় মোদক। যা গণেসের বিশেষভাবে প্রিয় খাবার।
মতিচুরের লাড্ডু
মিষ্টি জাতীয় যেকোনও খাবার পছন্দ করেন গণেশ। তার মধ্যে অন্যতম হল মতিচুরের লাড্ডু। তাঁর মূর্তিতেও একহাতে লাড্ডু থাকে। হলুদ-কমলা রঙের এই লাড্ডু গণেশ পুজোর আবশ্যিক অংশ।
কলা
মনে করা হয় যেকোনও হলুদ রঙের বস্তুই পছন্দ গণেশের। তাই ফলের মধ্যে কলাও পছন্দ গণেশের। দূর্গাপুজোতে আবার যেহেতু কলা গাছকে ,গণেশের স্ত্রী রূপে দেখা হয়, তাই গণেশের সঙ্গে সব সময় ফল হিসাবে কলা রাখার প্রচলন রয়েছে।
মোয়া
প্রসাদের ক্ষেত্রে সবশেষে মুড়ির মোয়া পছন্দ করেন গণেশ দেব। তাই তাঁর প্রসাদে অবশ্যই রাখা হয় মুড়ির মোয়া। গুরের সঙ্গে মুড়ি দিয়ে এই বিশেষ মোয়া বাানো হয়।