দুর্গাপুজোর দশমীতে বিসর্জনের পর এই জ্যোতিষমতের টোটকায় ফিরতে পারে ভাগ্য! একনজরে কিছু টিপস
দুর্গাপুজোর দশমীতে বিসর্জনের পর এই জ্যোতিষমতের টোটকায় ফিরতে পারে ভাগ্য! একনজরে কিছু টিপস
বিজয়া দশমীর বিকেল মানেই মন খারাপের পালা। পুজো শেষের বিদায় বেলায় যেন বিচ্ছেদের সুর বিজয়ার বিকেলের পরতে পরতে মিশে থাকে। সিঁদুর খেলার আয়োজন, ঢাকের বাদ্যি, দেবীকে মিষ্টিমুখ করানোর মতো বিভিন্ন পর্বের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ঘনিয়ে আসে বিজয়ার সন্ধ্যে। দেবীকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয়, নদীর তীরে , সেখান থেকে মা কৈলাসে পাড়ি দেবেন বলে ধরে নেওয়া হয়। সেই রীতিতেই বহু আচার পালিত হয়। ঘরের মেয়ে উমাকে বিদায় জানানোর মাঝেই দুষ্টের দমনে বিজয়ের উৎসবে পালা দিয়ে রাবণ বধ করার রীতি পালিত হয় দেশের দিকে দিকে। এদিকে, শরতের সন্ধ্যেয়ে তখন হেমন্তের আভাস ধীরে ধীরে ঠান্ডার মৃদুমন্দ বাতাসে জুড়িয়ে যায় ৪ দিনের আনন্দের পর দশমীর দুঃখের পালা। এদিকে, জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, এই দশমীতেই বিভিন্ন আচার রীতি অনুযায়ী কিছু পন্থা পালন করলে ঘরে আসে সম্পত্তি ও সুখ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, সেই সুখ সম্পত্তিকে আহ্বানের উপায়।
পদ্মফুল
দুর্গাপুজোর পদ্মফুল খুবই শুভ বিষয় বলে ধরে নেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর পদ্মফুল ঘরে রাখলে বহু অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে, ফলে পুজো হয়ে গেলে ঠাকুরের কাছ থেকে একটি পদ্মফুল ঘরে এনে রাখলে তা বহু আর্থিক কষ্ট, বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দেয়। কোনও শুভ কাজে পরে গেলে , সেই ফুল সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষবিদরা। এছাড়াও পদ্মফুলটি যদি মা দুর্গার ঘটের ফুল হয়, তাহলে তা অত্যন্ত মঙ্গলদায়ী।
দেবীর বিসর্জনের পর কী কী করণীয়?
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবীর বিসর্জনের পর রাত্রিবেলা একটি পাত্রে কিছুটা চন্দন, অল্প সিঁদুর, অল্প কর্পূর, একটি পান দিয়ে বেটে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তাতে অল্প গোচনা দিয়ে থাকেন অনেকে। পরে ঘরে একটি পবিত্র স্থানে তা রাখতে হবে, সামনে একটি প্রদীপ বসিয়ে দিতে হবে। এরফলেই ঘরে আসতে পারে শান্তি ও কাঙ্খিত জিনিস। পরের দিন এই মিশ্রণের টিকা পরলে বাধা বিপত্তি কেটে যায় বলে মনে করা হয়।
দশমীতে অঞ্জলিতে কী কী অর্পণ করবেন?
বলা হচ্ছে, দশমীতে অঞ্জলির সময় একটি অপরাজিতা ফুল অবশ্যই মাকে অর্পণ করুণ। এছাড়াও এদিন নীলঅপরাজিতা ফুলের মালা দিয়ে মাকে প্রণাম করতে পারেন। দশমীর শেষবেলার পুজোর সময়এ নীল অপরাজিতা ফুল দেওয়া শুভ বলে মনে করা হয়। এদিকে, সেদিন শিবকে বেলপাতা দিয়ে পুজো করলেও মেলে কাঙ্খিত ফল।
দশমীর সিঁদুর দান
সিঁদুরের কৌটো থেকে সিঁদুর বের করে যদি দশমীকে সিঁদপর খেলার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে তার জন্যও রয়েছে একাধিক টোটকা। বলা হচ্ছে, একটি সিঁদুর কৌটো থেকে কিছুটা সিঁদুর মাকে অর্পণ করে তার বাকি অংশ মায়ের তরণে ছুঁইয়ে তা বাড়ি আনুন। সেই সিঁদুর পরে ব্যবহারও করতে পারবেন। এতে দাম্পত্য সুখ বাড়ে। এছাড়াও দশমীর দিন রাম মন্দির গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাবণ দহনের সময় পুজো করলেও সংসারে বিপত্তি বিনাশ হয়।