দুর্গাপুজো ২০২১: অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মহাসপ্তমীর দিন পালন করুন এই পন্থা! জ্যোতিষমতে কিছু টোটকা একনজরে
দুর্গাপুজো ২০২১: অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মহাসপ্তমীর দিন পালন করুন এই পন্থা! জ্যোতিষমতে কিছু টোটকা এতনজরে
বিশ্বকর্মা পুজো শেষ মানেই মা দুর্গার আবাহনের পালা শুরু। কার্যত এবার মহালয়ার কাউন্টডাউনের সঙ্গেই মা দুর্গাকে ঘরে বরণ করে নেওয়ার উৎসব শুরুর পথ প্রশস্ত হতে শুরু করেছে। কোভিড বিধি মেনে বাংলার কোণে কোণে শুরু হয়ে গিয়েছে বাঁশ বাঁধার কাজ। আর তার হাত ধরেই কার্যত কাউন্টডাউনের ঢাকে কাঠি পড়তে শুরু করল। এদিকে ধরাধাম কার্যত করোনার জেরে বিধ্বস্ত। সকলেই করোনাসুর থেকে মুক্তির পথ খুঁজে চলেছে। এই ভাইরাসের দাপটে যেমন স্বাস্থ্যের দিক থেকে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে বিশ্বের, তেমনই ভেঙে পড়েছে অর্থব্যবস্থা। করোনার মাঝে বিভিন্ন সময়ে বেহাল আর্থিক পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই, আর্থিকভাবে কষ্টের মুখে রয়েছেন অনেকে। এদিকে, জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির মাজে অর্থকষ্ট থেকে যদি মুক্তি পেতে হয়,তাহলে সবচেয়ে রয়েছে পালনীয় কিছু টোটকা। মহাসপ্তমীর দিনে যদি কয়েকটি টোটকা পালন করা যায়, তাহলে অর্থকষ্ট কেটে যায় বলে মনে করেন অনেকেই। জ্যোতিষমতে দেখে নেওয়া যাক, আর্থিকভাগ্য ফেরাতে কী কী করণীয়।
মহাসপ্তমীর সকালে কী কী করণীয়?
একটি শুদ্ধবস্ত্র পরে মহাসপ্তমীর সকালে স্নান করে একটি টোটকা পালনের কথা বলছেন জ্যোতিষবিদরা। প্রসঙ্গত, মহাসপ্তমীর দিন নবপত্রিকা পুজো করা হয়। এমনদিনে দেবীর পুজোর আনন্দ কার্যত মধ্যগগনে থাকে। নবদুর্গার নয়টি রূপকে এমন দিনে নবপত্রিকা রূপে পুজো করা হয়। জ্যোতিষীরা এমন দিনে ভক্তিভরে বজরং বলির পুজোপাঠও করতে বলছেন। এতে অর্থকষ্ট দূর হয় বলে জানা যায়।
কোন উপায় কাম্য?
মহাসপ্তমীর দিন সকালে স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পরে, দুটি পেরেকে সিঁদুর লাগিয়ে তা বজরংবলির মন্দিরে অর্পণ করতে হবে। এরই সঙ্গে মন্দিরে হনুমান চালিশা পাঠ করার কথা বলা হচ্ছে জ্যোতিষীদের তরফে। এরপর সেই পেরেক ঘরে অনে বাড়ির সদর দরজার সামনে কোথাও রাখার কথা বলা হচ্ছে। এমনই মত জ্যোতিষবিদদের। এতে ঘরে অর্থাভাব কমে যায়। বলছেন, জ্যোতিষবিদরা।
লাড্ডু অর্পণ
মহাসপ্তমীর সকালে দিকে দিকে নবপত্রিকা স্নানের সঙ্গেই বেজে উঠবে শাঁখ ও চাকের বাদ্যি। গঙ্গাস্নান সেরেই শুরু হবে পুজো। এদিকে সেদিন সকালে জ্যোতিষমতে যদি সাতটি লাড্ডু নিয়ে তাতে সাতটি লবঙ্গ বসিয়ে দিয়ে মা দুর্গাকে ঘরেই অর্পণ করা যায়, তাহলে তাতে মিলতে পারে সুফল। লবঙ্গ গাঁথার সময় দেখতে হবে, লবঙ্গের ফুলটি যেন বাইরের দিকে থাকে। এই লাড্ডু তামার পাত্রের মধ্যে রেখে নিবেদন করতে হবে। এরপর এই লাড্ডু মায়ের সামনে দিয়ে ধূপ ধুনো কর্পুর দিয়ে পুজো করুন, বলছেন জ্য়োতিষশাস্ত্রবিদরা। এতেই বহু অর্থকষ্ট কেটে যেতে পারে বলে দাবি অনেকের।
সপ্তমীর সকালে দেবীকে কী কী অর্পণ করতে হবে?
মহাসপ্তমীর দিন ১০৮ যব, ১০৮ টি দুর্বা, ১০৮ টি আতপ চাল, একটি আলতা কাপড়ে মুড়ে মায়ের চরণে অর্পণ করুণ। এতে বহুদিনের সমস্যা কেটে যেতে পারে বলে জানা যায়। বহু দিন ধরে কোনও আর্থিক জটিলতা যদি থেকে থাকে,তাহলে তা কেটে যেতে পারে। বহু ধরনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই টোটকার জেরে।