দুর্গাপুজোর কল্পারম্ভ থেকে অধিবাস পর্ব ঘিরে কোন তাৎপর্য জড়িয়ে রয়েছে
রাত পোহালেই পঞ্চমী। কার্যত বাঙালির প্রাণের উৎসবের ঢাকে 'অফিসিয়াল' কাঠি পড়ার পালা সেদিন। তবে তার আগে থেকেই উৎসবের মরশুমে পুজোর মেজাজ তুঙ্গে রাখতে প্যান্ডেলে ভিড় জমাতো শুরু করেছেন অনেকেই। একদিকে উৎসবের উচ্ছ্বাস , অন্যদিকে, ' সমারোহে' 'পরমতর' দেবীকে বরণ করে নিয়ে বিভিন্ন আচর অনুষ্ঠানে মাততে চলেছে বাঙালি। তার আগে মহাষষ্ঠীর কল্পারম্ভ থেকে অধিবাসের তাৎপর্যে চোখ রাখা যাক।
কল্প' অর্থাৎ সংকল্প। 'আরম্ভ' অর্থে শুরু। সুতরাং 'কল্পারম্ভ' হল এমন এক মুহূর্ত যখন সংকল্প নিতে হয় যে, পুজোর ক'দিন নিষ্ঠা সহকারে নিয়মাবলী পালন করা হবে। পুজো যাতে নির্বিঘ্নে কাটে , তার জন্যই ঘট ও জলপূর্ণ তাম্রপাত্র নিয়ে এই আচার সম্পন্ন করা হয়। মহাষষ্ঠীর সকালে মণ্ডপের এক কোণে ঘট স্থাপন করতে হয়। দেবীর আরাধনায় যে পবিত্র সংকল্প করা হয়, ঘট হল তার সাক্ষী। মহাষষ্ঠীর কল্পারম্ভকে বলা হয় 'ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ'।
এরপর আসে দেবীকে জাগিয়ে তোলার পর্ব। সেই পর্বকেই আমন্ত্রণ ও অধিবাস নামে পরিচিত। এই আমন্ত্রণ পর্বে দেবীর উদ্দেশে অধিষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর আসে অধিবাস পর্ব। 'অধিবাস' অর্থাৎ বসত করা। লাল সুতো দিয়ে চারটি কঞ্চির মাথা বেঁধে দেওয়া হয়। এটা হল এমন এক গণ্ডি, অশুভ শক্তি যার বাইরে থাকবে। অন্দরে থাকবেন মহাশক্তি। অধিবাসে বিল্বপত্র অর্থাৎ বেলপাতা আবশ্যিক। ২৬টি জিনিস মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে পবিত্র করা হয়।