ভাদ্রমাসে ভুলেও করবেন না এই অশুভ কাজগুলি, মাথায় চাপবে লোকসানের বোঝা
শ্রাবণ মাসের পর ভাদ্র (ভাদ্রপদ) মাসের শুরু হয়ে যায়। হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে এটি বছরের ষষ্ঠ মাস এবং চর্তুমাসের দ্বিতীয় মাস ভাদ্র বলে মানা হয়। প্রত্যেক মাসের আলাদা আলাদা গুরুত্ব থাকে আর পৃথক পৃথহ দেবতাদের তা উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও গণেশজির পুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে।
ভক্তির মাস ভাদ্রমাস
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসকে ভক্তির মাস বলে মনে করা হয়। এই মাসে জন্মাষ্টমী ও গণেশ চতুর্থীর মতো বড় উৎসব পালন করা হবে। ভাদ্রপদ মাসের শুরু ১২ অগাস্ট থেকে হয়েছিল এবং এটি শেষ হবে ১০ সেপ্টেম্বরে। ধার্মিক গ্রন্থ অনুসারে প্রত্যেক মাসে কিছু জরুরি নিয়মের কথা বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিই ভাদ্রমাসে কোন জিনিসগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই মাসে আমিষ খাবার খাবেন না
বিশ্বাস করা হয় যে এই মাসে ভগবানের জপ, পুজো ও ব্রত করার সময় ব্যক্তিকে পূর্ণরূপে ব্রহ্মচর্য ব্রতের পালন করা উচিত। শুধু তাই নয়, এই মাসে আমিষ খাবার খাওয়াও উচিত নয়।
বিছানায় শোবেন না
কথিত আছে, এ মাসে পাপের বিনাশ ও পুণ্য অর্জনের জন্য যারা ব্রত করেন, তাঁদের বিছানায় শোওয়া ছাড়তে হবে। কারোর প্রতি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করবেন না।
রসুন–পেঁয়াজ খাবেন না
ভাদ্রমাসে রসুন, পেঁয়াজের মতো আমিষ জিনিসকে ভুলেও ছোঁবেন না। বলা হয় যে এই মাসে যতটা সম্ভব সাদামাটা জীবন ধারণ করুন ও মাটিতে ঘুমোন।
শুভ কাজ এই মাসে নয়
জ্যোতিষ মতে, ভাদ্রমাসে বিয়ে, গৃহপ্রবেশ, বাগদান পর্বের মতো শুভ কাজ করতে নেই। শুধু তাই নয়, কথিত আছে যে এই মাসে ভুলেও গুড়, দই অথবা এগুলি দিয়ে তৈরি জিনিসের সেবন করবেন না।
ঋণ নেবেন না
এই মাসে অন্যদের থেকে ঋণ নেবেন না। এছাড়া এই মাসে অন্যের দেওয়া অন্নও খেতে নেই।
ভাদ্র রবিবারের গুরুত্ব
কথিত আছে, ভাদ্রের রবিবারের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে সূর্যের পুজো করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য পাওয়া যায়। সম্ভব হলে এই মাসের সব রবিবারে সূর্যদেবকে জল নিবেদন করুন। লবণ খাবেন না এবং চুল কাটবেন না।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
'ডার্লিংস’ অভিনেত্রী শেফালি শাহ কোভিড পজিটিভ, বাড়িতেই রয়েছেন আইসোলেট