যে কোনও শুভ কাজে দই–চিনি কেন খাওয়ানো হয় জানেন কী? জানুন এর পিছনে থাকা কারণ
ছোটবেলায় যখন আপনি পরীক্ষা দিতে যেতেন তখন মা আপনার যাওয়ার ঠিক আগে দই-চিনি মিশিয়ে খাওয়াতেন বা দই-মিষ্টি মুখে দিয়ে দিতেন। যদি এই কথাটা মনেও না রাখেন তবে এটা তো নিশ্চয়ই মনে আছে যে যখন আপনি প্রথম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন তখন আপনার মা ওই সময় আপনাকে দই-চিনি বা দই-মিষ্টি খাইয়েছিল, এমনকী কপালের দইয়ের ফোঁটাও লাগিয়ে ছিলেন। আপনি হয়ত এটাই তখন বুঝেছিলেন যে এটা হয়ত পরিবারের রীতি এবং এটাকে না করা ঠিক হবে না। আপনি হয়ত ভেবেছিলেন যে এটার পিছনে কেবলমাত্র ধার্মিক কারণ হবে বা মায়ের আপনার প্রতি ভালোবাসা। কিন্তু এই চিন্তা আসলে ভুল।
শীতলতা দেয় দই
জেনে রাখুন দই-চিনি খাওয়া বা খাওয়ানো এবং মাথায় দইয়ের তিলক লাগানোর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। দই খাবার হজম করতে সহায়তা করে, এর সঙ্গে প্রাকৃতিক রেচক অর্থাৎ খাবারকে নরম করতেও সাহায্য করে। দুধ থেকে তৈরি হোয়া দইতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, বি-১২, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। যা আপনার মধ্যে শক্তির সঞ্চার করে। চিনি বা মিষ্টিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা রক্তে অক্সিজেনের স্তর বৃদ্ধি করার কাজ করে। মস্তিষ্কে এই রক্ত সঞ্চালন হয়ে আপনার স্মৃতিকে আরও জোরালো করে। মাথায় দইয়ের তিলক দিলে তা শীতল করে শরীরকে এবং বিদ্যার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে মন দিয়।
আয়ুর্বেদিক কারণ
গরমের সময় শরীর ঠাণ্ডা রাখা খুব প্রয়োজন এবং আয়ুর্বেদের মতে দই শরীরে উপস্থিত গরমকে কম করতে সহায়তা করে। এ সঙ্গে চিনি, গ্লুকোজের গুরুত্বপূর্ণ পরিপূরক হিসাবে মানা হয়ে থাকে। আমরা যখন এই দু'টো জিনিসকে একসঙ্গে করে খাই তখন এটা আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা করে এছাড়া দিনভর শরীরের ভেতর প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়ে থাকে। এমন অবস্থায় পরীক্ষা হোক বা চাকরির ইন্টারভিউ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে ভরা এসব পরিস্থিতিতে দই-চিনি খাওয়া শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি যোগায়। এটি একাগ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক।
বৃহস্পতিকে শুভ করতে
এছাড়াও এই খাবারগুলি খাওয়া জ্যোতিষে শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষে বৃহস্পতিকে শুভ গ্রহ মনে করা হয়। বৃহস্পতি আবার দেবগুরু, বুদ্ধি, শিক্ষা, বিবাহ, গুরুর কারক গ্রহ এটি। এই গ্রহ শক্তিশালী হলে ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌভাগ্য লাভ করে। বৃহস্পতির ভালো ফলাফল লাভ করার জন্য ছোলা, ছোলার ডাল, ভুট্টা, কলা, হলুদ, সন্ধৈব লবণ, হলুদ ডাল ও ফল খাওয়া উচিত।
রাহু ও কেতুকে শান্ত রাখতে
এই দুই ছায়া গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে বিউলি ডাল, তিল, সরষের তেল খাদ্যতালিকাভুক্ত করুন। এই খাদ্য সামগ্রী রাহু-কেতুর দুষ্প্রভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)