ষষ্ঠীলা একাদশীতে এই ভুল করবেন না, ভগবান বিষ্ণুর কৃপা থেকে বঞ্চিত হবেন
ষষ্ঠীলা একাদশীর বিধি
ভগবান বিষ্ণুর আরাধনার জন্য সবচেয়ে বিশেষ বলে মনে করা হয় একাদশী তিথি প্রতি মাসে দু’বার করে পড়ে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি একাদশীকে শাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী, যাকে বলা হয় ষষ্ঠীলা একাদশী। বিষ্ণুর আরাধনা ও সন্তান সুখ পেতে এই উপবাস করা হয়। এ বছর এই ব্রত রাখা হচ্ছে শুক্রবার অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি। এই উপবাস নিয়ে হিন্দু ধর্মে কিছু বিশেষ নিয়ম বলা হয়েছে, যা মেনে চলা খুবই জরুরি।
ভগবান বিষ্ণুকে দিন তিল দিয়ে তৈরি করা ভোগ
তিল শব্দটি ষষ্ঠীলা একাদশীর নামের অন্তর্ভুক্ত। শীতের মরশুমের এই উপবাসের বিশেষ বিষয় হল ভগবান বিষ্ণুকে শুধুমাত্র তিলের খাবার নিবেদন করা হয়। ব্রতকারীরা তিলের তৈরি ফলহার ভিত্তিক খাবারও খাওয়া হয় এবং তিলের তৈরি কোনও খাবারও দানও করা হয়। সব মিলিয়ে এই ব্রতে ৬টি উপায়ে তিল ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে।
ষষ্ঠীলা একাদশীর পুজোর মুহূর্ত
27 জানুয়ারি দুপুর ০২টো ১৬ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠীলা একাদশী তিথি এবং শেষ হবে ২৮ জানুয়ারী রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে। এই সময়ের যে কোনও শুভ সময় দেখে পুজো করার নিয়ম রয়েছে।
ব্রতের এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে
যারা ষষ্ঠীলা একাদশীর উপবাস করবেন তাদের একদিন আগে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করা উচিত । অন্যদিকে, এই দিনে বেগুন-ভাত খাওয়া উচিত নয়। ব্রতীর জন্য ব্রহ্মচর্য পালন করা আবশ্যক। এছাড়াও মাটিতে ঘুমান। ভুল করেও আমিষ ও নেশাজাতীয় জিনিস খাবেন না। পানও করবেন না। এই দিনে দাতন করবেন না। ব্রতকারীদের এই দিনে কোনও গাছের ফুল ও পাতা ভাঙা উচিত নয়। এছাড়াও, এই দিনে মিথ্যা বলা এড়িয়ে চলুন।
দান–ধ্যান করুন এদিন
এদিন অভাবীদের খাদ্য বা প্রয়োজনীয় জিনিস দান করুন। শান্ত থাকুন এবং বিনয়ী হন। ভক্তি থেকে উদ্ভূত ব্রত হল মন ও শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি ব্যায়াম। 'ওম নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়' মন্ত্র জপ করুন। একাদশী তিথিতে পুজো করার পর বিষ্ণু সহস্রনাম, ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত অন্যান্য স্তোত্র এবং ষষ্ঠীলা একাদশী ব্রতকথা পড়ুন।