গণেশ চতুর্থীতে বিঘ্নহর্তার পুজোয় এই জিনিসগুলি অর্পণ করতে ভুলবেন না যেন
সব দেবতাদের মধ্যে ভগবান গণেশ প্রথম পূজনীয় বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রত্যেক বছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষে গণেশ চতুর্থীর উৎসব পালন করা হয় খুবই জাঁক জমকের সঙ্গে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এই বছর এই উৎসব ৩১ অগাস্টে পালন করা হবে। গণেশ উৎসবের পর্ব ১০ দিন পর্যন্ত পালন করা হয়। চতুর্থীর দিন গণেশজির জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে, এইদিন গণেশজির পুজোয় কিছু বিশেষ জিনিসের যোগ করা উচিত। এতে পুজোর ফল পাওয়া যায় এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি থাকে। আসুন জেনে নিই যে গণেশ ভগবানের পুজোয় কোন জিনিসগুলির যোগ করা উচিত।
কলার জোড়া
গণেশজির পুজোয় একজোড়া কলা অবশ্যই দেবেন, এতে বাপ্পা খুশি হন। ভগবান গণেশ সব ফলের মধ্যে কলাটি বিশেষভাবে পছন্দ করেন। তাই গণেশ ভগবানের পুজোয় একজোড়া কলা অবশ্যই দেবেন। এতে বিঘ্নহর্তার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
হলুদ
হিন্দু ধর্মে কোনও কাজ হলুদ ছাড়া হয় না। এইজন্য গণেশ চতুর্থীর দিনে গণেশজিকে হলুদ অবশ্যই অর্পণ করুন। এইদিন গণেশজিকে হলুদের গাঁট দেওয়া খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় যে এরকম করলে বিঘ্নহর্তা ভক্তের সব কষ্ট দূর করে দেয় আর বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
নারকেল
প্রত্যেক পুজোয় নারকেলের ব্যবহার অবশ্যই করা হয়ে থাকে। পুরাণ কথায় নারকেলকে মা লক্ষ্মীর ফল বলে ধরা হয়। গণেশ চতুর্থীর দিন শ্রী গণেশকে একটা গোটা নারকেল অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। এরকম করলে বাড়িতে অর্থের বর্ষণ হয়।
মোদক ও লাড্ডুর ভোগ
গণেশজির প্রিয় মিষ্টি মোদক ও লাড্ডু তাই পুজোয় এই দুই মিষ্টি ভোগ হিসাবে অবশ্যই দেবেন। বিশ্বাস করা হয় যে গণেশজিকে লাড্ডু বা মোদকের ভোগ দিলে ভক্তের সব ইচ্ছা পূরণ হয়।
সুপারি অর্পণ
হিন্দু ধর্মে সুপারিকে গণেশ ভগবানের প্রতীক বলে মনে করা হয়। গণেশ চতুর্থীর পুজো সামগ্রীতে সুপারি অবশ্যই রাখুন। মনে করা হয় যে গণেশজিকে সুপারি অর্পণ করলে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং বাড়িতে আনন্দের পরিবেশ থাকে।
দুর্বা অবশ্যই দিন
পুরাণ মতে ভগবান গণেশের দুর্বা খুবই প্রিয়। শ্রী গণেশের পুজোয় তাই দুর্বা অবশ্যই রাখুন। গণেশ ভগবানকে দুর্বা দিয়ে পুজো করলে সব সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
মাসের শেষে দুই গ্রহের বিশেষ সংযোগ, এই রাশিদের জীবনে ভরপুর সুখ–সুবিধা নিয়ে আসতে চলেছে