ভুলেও করবেন না এইসব কাজ, নাহলে হতে পারে চরম আর্থিক কষ্ট
আর্থিক কষ্ট দেয় যেসব কাজ
প্রতিটি মানুষের জীবনের মূল লক্ষ হল আর্থিক উপার্জন এবং ধন সম্পদ বৃদ্ধি করা। প্রাত্যহিক জীবনের সামান্যতম উপকরণ কেনার জন্যও দরকার অর্থের। তাই সবাই উপার্জন করেন দিনচর্চায় আহার, পোশাক ও বাসস্থানের জন্য। আর দেবী লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়া জীবনে অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। যাঁর প্রতি মা লক্ষ্মী সদয় হন, ধন-সম্পদের অভাব হয় না। অন্যদিকে, লক্ষ্মী যখন কুপিতা হন তখন চরম দারিদ্রতার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। শাস্ত্রে এমন কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যার কারণে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী গৃহত্যাগ করেন। তাই জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে ভুল করেও কোন কোন কাজ করা উচিত নয়।
নোংরা বাসন রাখা
প্রায়ই দেখা যায় অনেক বাড়িতে নোংরা বাসন রান্নাঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। বেশির ভাগ বাড়িতেই খাবারের পর সারা রাত নোংরা বাসন রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু শাস্ত্র অনুযায়ী এই কাজ অনুচিত বলে মানা হয়ে থাকে। এতে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। যার ফল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
উত্তর দিকে আবর্জনা রাখা
সনাতন হিন্দু বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী উত্তর দিকের অধিপতি সম্পদের দেবতা কুবের। পাশাপাশি এই স্থানটিকে মাতৃস্থান হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। তাই বাড়ির উত্তর দিকে নোংরা আবর্জনা রাখা উচিত নয়। এই দিকটি সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। জিনিস এই দিকে রাখলে ধন কুবেরের পাশাপাশি মা লক্ষ্মীও রাগ করেন। ফলে বাড়িতে অকাল দৈন্যতা দেখা দেয়।
উনুন অপরিষ্কার রাখা
বল হয়ে থাকে যে বাড়ির রান্নাঘরে লক্ষ্মীর অবস্থান। তাই উনুনের উপরে খালি বা নোংরা বাসন রাখা উচিত নয়। রান্নাঘরের উনুন সর্বদা পরিষ্কার রাখা দরকার। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। শাস্ত্র মতে, উনুনে খালি বা ময়লা বাসন রাখলে ঘরে দারিদ্র্য আসে এবং সেখানে লক্ষ্মীর বাস আর থাকেনা।
সূর্যাস্তের সময় ঝাড়ু দেওয়া
সূর্যাস্তের সময় ঘরে ঝাড়ু দেওয়া উচিত নয়। এ সময় ঘর ঝাড়ু দিলে জীবনের ওপর দুর্ভাগ্যের ছায়া পড়তে থাকে। সেই সাথে মা লক্ষ্মী রেগে গিয়ে ঘর ছেড়ে চলে যান।
এক হাতে চন্দন ঘষা
শাস্ত্র অনুযায়ী এক হাতে চন্দন ঘষা উচিত নয়। এর ফলে নারায়ণ দারিদ্রতার কারক হন। এর সঙ্গে সঙ্গে মা লক্ষ্মীও ক্রুদ্ধ হন যার কারণে জীবনে অর্থের সমান অভাবের সম্মুখীন হতে হয়। দুই হাতে চন্দন ঘষে একটি পাত্রে রেখে তার পর দেবতাকে অর্পণ করতে হয়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ তথ্যের উপর নির্ভরশীল)