আপনি কি দাম্পত্য জীবনে সুখী! শনির অশুভ প্রভাব পড়ছে না তো আপনার ওপর? জানুন সুখী দাম্পত্যের রহস্য কী
বর্তমান পরিস্থিতিতে জনজীবন ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ। আধুনিক যুগের এই ব্যস্ততার মধ্যে একজন ব্যস্ত মানুষ ঠিক কী চান? ব্যস্ত মানুষটি চান সারাদিন বাদে ঘরে এসে তিনি দিনের ক্লান্তি ভুলে বাড়ির লোকেদের সাথে আনন্দে কাটাবেন। কিন্তু এমন কপাল তো সবার থাকে না। অনেক সময় বস্তু দোষ থেকে অনেক ধরনের অশান্তির মুখে পড়তে হয়। দাম্পত্য সুখের বাধা দূর করতে, জন্ম তালিকার গ্রহ যোগ অনুসারে অশুভ গ্রহকে শুভ করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সাধারণত, বিবাহিত জীবনকে সুখে রাখার জন্য জন্ম তালিকার সপ্তম ঘর বিবেচনা করা উচিত। কারণ এই ঘরে পাপ গ্রহের প্রভাব থাকলে দাম্পত্য সুখ অনেকটাই বিঘ্নিত হতে পারে।

অশুভ গ্রহের প্রভাব থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবেন?
অনেক কালো অনেক ব্যক্তির ওপর পড়তে পারে। তখন সূর্য, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতুর ওপর জোর দেওয়া উচিত। যদি সপ্তম ঘরে সূর্যের প্রভাব থাকে তাহলে জীবনসঙ্গীর সাথে আত্মসম্মানের বিরোধ দেখা দিতে পারে। তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদও পর্যন্ত হতে পারে। যাদের ওপর এই গ্রহের প্রভাব রয়েছে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের রবিবার লাল পোশাক পরা এড়িয়ে চলা উচিত। মঙ্গল গ্রহকে বৈবাহিক সুখের জন্য একটি বেদনাদায়ক গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ মঙ্গল শুভর পাশাপাশি অঙ্গারও। কারণ বেশিরভাগ সময়ে মঙ্গলের অশুভ প্রভাব বিবাহিত জীবনের ওপর পড়তে পারে। আবার বিবাহের আগেও এর প্রভাব পরতে পারে।

মঙ্গলের অশুভ প্রভাবে ফলে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ
মঙ্গলের অশুভ প্রভাবে ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হানাহানির পরিস্থিতি পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। সুন্দর দাম্পত্য জীবন নরকে পরিণত হয়। আর এই নরক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্বামী, স্ত্রী উভয়কে রূপোর গয়না পরতে হবে। গলায় রূপোর চেন বা হাতে রূপোর ব্রেসলেট পরা উচিত। যেসব স্বামী-স্ত্রী উগ্র স্বভাবের। তাদের ঝাল,মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই গ্রহের প্রভাব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে ওঠার জন্য যদি আমিষভোজী ব্যক্তি নিরামিষ খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন।

শনির থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার নতুন বস্ত্র ধারণ
শনির অশুভ প্রভাব বেশি থাকলে বিবাহের পরেও জীবনসঙ্গীর প্রতি কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে না। দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক আকর্ষণের অভাব থেকে যায়। একারণে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস করেও আলাদা থাকার মতো জীবনযাপন করেন। এর থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার নতুন লাল পোশাক পরা উচিত। স্বামীর উচিত লাল কাপড় কিনে স্ত্রীকে দেওয়া। কুণ্ডলীতে বিবাহিত বাড়িতে রাহুর অশুভ প্রভাবের কারণে বিবাহিত জীবনে বিষয়গত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে অন্য ব্যক্তির হস্তক্ষেপের কারণে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে। প্রথমে ব্যক্তিদের প্রথমে কোনও ধরণের নেশাজাতীয় এবং বিষাক্ত জিনিস গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ রাহু নেশা সৃষ্টি করে এবং দাম্পত্য জীবনে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।

দাম্পত্য জীবন সুখী করার কিছু সহজ পদক্ষেপ-
১) যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময়ে অশান্তি হয় তাহলে বুধবার স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা উচিত।
২) প্রতি শুক্রবার সাদা ও রসালো মিষ্টি এনে স্বামীর উচিত স্ত্রীকে খাওনো।
৩) প্রতি শুক্রবারে সুগন্ধি বা পারফিউমের বোতল কিনে ঘরে আনলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ে। অশান্তি দূর হয়।
৪) বিবাহিত জীবনে যদি পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার অভাব থাকে, তাহলে এই ধরনের দম্পতিদের উচিত প্রতি বৃহস্পতিবার রাম-সীতার মন্দিরে গিয়ে মন্দিরে প্রসাদ বিতরণ করা।
৫) স্ত্রীর স্বভাব যদি উগ্র হয়, তবে এমন ব্যক্তির উচিত শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে উপহার হিসাবে রূপোর গয়না নেওয়া এবং সেই ব্যক্তির সর্বদা তা পরিধান করা উচিত।
৬) শনিবার জামুনের পাতা এনে বেডরুমে রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয় না। দাম্পত্য প্রেম তাদের দুজনের মধ্যেই থাকবে। করতে পারবে সুখের সংসারও।