বিরল শনি-পুষ্য যোগে করুন সামান্য উপায়, হবে জীবনের সকল বিপদ নাশ
বিরল শনি-পুষ্য যোগে করুন সামান্য উপায়, হবে জীবনের সকল বিপদ নাশ
শুরু হয়েছে বছরের ষষ্ঠ মাস জুন মাস। আর এই মাসের প্রথম শনিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে, পুষ্য নক্ষত্রকে সমস্ত ২৭ টি নক্ষত্রের মধ্যে সেরা নক্ষত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর এই শনিবার অতি বিরল শনি-পুষ্য যোগ ঘটছে। এই কাকতালীয় ঘটনাটি ঘটছে দীর্ঘদিন পরে। তাই এই মহত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশ কয়েক গুণ। এই দিনে রবি যোগও হচ্ছে এবং শনির গতিও পরিবর্তিত হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি-পুষ্য যোগকে গুরু পুষ্য যোগের মতোই শুভ ও বিরল যোগ বলে মনে করা হয়। এই সংমিশ্রণে, স্থায়ী সম্পত্তি কেনা বা দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পুষ্য নক্ষত্রে করা পূজা ও প্রতিকারও শুভ ফল দেয়। শনিবার পুষ্য নক্ষত্রের কারণে শনি-পুষ্যের শুভ মিলন ঘটছে। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, পুষ্য নক্ষত্র ৩ জুন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে শুরু হবে এবং পরের দিন অর্থাৎ ৪ জুন রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে। এই দিনে শনিদেবের কিছু সহজ প্রতিকার করলে জীবনে আসা অনেক সমস্যা থেকে সমাধান লাভ করা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক কী কী উপায় করলে এইদিন খুব শুভ ফল পাওয়া যায়।
শনি-পুষ্য যোগের সময়
চলতি জুন মাসের প্রথম শনিবার অতি বিরল এবং শুভ ফল প্রদানকারী শনি-পুষ্য যোগ হতে চলেছে। ২০২২ সালের জুন্মাসের ৩ তারিখ শুক্রবার সন্ধে ৭টা বেজে ৫ মিনিটে শুরু হয়ে জুন মাসের ৪ তারিখ অর্থাৎ শনিবার রাত ৯টা বেজে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে এই বিরল জ্যোতিষ যোগ।
শনি-পুষ্য যোগের প্রতিকার
শনি-পুষ্যের এই শুভ যোগে কিছু সামান্য উপায় করলেই জীবনে লাভ হয় অপার সুখ ও উন্নতি। এইদিন কালো ঘোড়ার নাল থেকে একটি আংটি তৈরি করে যে কোনও জাতক জাতিকার মধ্যমা আঙুলে পড়া খুব শুভ বলে মনে করা হয়। তবে যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করে এইদিন শনির রত্ন নীলকান্তমণিও ধারণ করা যেতে পারে। মনে করা হয় এইদিন এই উপায় করলে তা জীবনের সব বিপত্তি নাশ করে।
বজরংবলীর পুজো
শনিদেবকে খুশি করতে বজরংবলীর পূজাও খুব ফলদায়ক বলে কথিত জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, শনিবার হনুমান চালিসা বা হনুমান বাহু অষ্টক পাঠ করলে শনির যে কোনও খারাপ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হনুমানজির মন্দিরে বসে এই প্রতিকার করলে আরও তাড়াতাড়ি শুভ ফল পাওয়া যায়।
শনি মন্ত্র জপ
শনি-পুষ্য যোগের দিন 'ওম শনিশ্চরায় নমঃ' এই মন্ত্র ১০৮ বার পাঠ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এবং পুজোর পর অশ্বত্থ গাছের চারপাশে ১০৮ বার প্রদক্ষিণ করাও খুব শুভ। এরপর অশ্বত্থ গাছের গোঁড়ায় মিষ্টি দুধ নিবেদন করে তার নীচে বসে শনি স্তবরাজ পাঠ করলে সব বিপদ ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছারাও 'ওম প্রম প্রম প্রম সহ ওমে শনি', 'ওম শন্নো দেবী অভিষ্টদাপো ভবন্তুপিতায়ে' এবং 'ওম শনি শনিচারায় নমঃ' জপ করাও খুব শুভ।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
বুধ
ও
শুক্রের
মিলনে
তৈরি
হচ্ছে
মহালক্ষ্মী
যোগ!
কোন
কোন
রাশির
শুভ
সময়
শুরু,
জানেন