ভূত চতুর্দশীর রাতে কোন কোন বাস্তুশাস্ত্র টোটকায় বাধা দূর হয়! কয়েকটি টিপস একনজরে
ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী মূলত অন্ধকারকে সরিয়ে সুসময়কে আহ্বানের উৎসব। এমন দিনে ১৪ শাক খেয়ে রোগ জ্বালার মতো বাধা দূর করা হয়, অন্যদিকে রাতে ১৪ টি আলোর প্রদীপ দিয়ে ১৪ পুরুষের প্রতি যেমন সম্মান দেখানো হয়, তেমনই দূর করা হয় ঘরের অমঙ্গলের ঘনঘটাকে। এমন দিনে আপনার জীবনে এসে থাকে কোনও বাধাকে সহজেই দূর করতে পারেন। জেনে নিন কয়েকটি টিপস।
ঘরে সুখ শান্তি বিঘ্নিত হলে..
এদিন ঘরের সামনে যেদিকে মূল দরজা রয়েছে, সেখানে একটি অসত্থ গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্রবিদরা বলছেন, এমন কাজের ফলে বড়িতে অমঙ্গল দানা বাঁধে না। পাশাপাশি সুখ শান্তি আসে।
ভূত চতুর্দশীর দিন গাছ পোঁতা
ভূত চতুর্দশীর দিন বাড়িতে তুলসী গাছ ও গাঁদা ফুলের গাছ পোঁতা মঙ্গলদায়ক। এমন দিনে, গাছ পোঁতা হলে, বাড়ির অমঙ্গল দূর হয়।
ঘরের প্রবেশদ্বারে কী লাগাতে হবে?
ভূত চতুর্দশীর রাতে ঘরের প্রবেশ দ্বারে ঘোড়ার নাল লাগিয়ে রাখুন। এতে অমঙ্গল দূর হয়। মূল দরজায় স্বস্তিকা চিহ্ন রাখলেও তা সুফল দিয়ে থাকে।
ভূত চতুর্দশীতে কোন পুজো করতে পারেন?
নরক চতুর্দশী বা ভূত চতুর্দশীর দিন হনুমানজির পুজো সম্পন্ন করতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্রবিদরা বলছেন এমন দিনে বজরংবলীর পুজো. বহু বাধা দূর হয়।
কোথায় কোথায় রাখবেন প্রদীপ?
মূলত, বাড়ির যেখানে তুলসী মঞ্চ, ঠাকুর ঘর, জল রাখার জায়গা ও চাল রাখার জায়গা রয়েছে, সেখানে রাখুন প্রদীপ। এমনকি নালার সামনে প্রদীপ রাখার কথাও বলছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।