ভূত চতুর্দশীর ১৪ শাকের উপকারিতা কী কী! জানুন পৌরানিক কাহিনি
ভূত চতুর্দশীর ১৪ শাকের উপকারিতা কী কী! জানুন পৌরানিক কাহিনি
বাঙালির চেনা রীতিনীতির অন্যতম অঙ্গ ভূত চতুর্দশী। এমন এক দিনে বাঙালি পুরনো রীতি মেনে ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক খাওয়া থেকে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি পালিত হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, চোদ্দ শাক কেন খাওয়া হয়? এর গুণাগুণ থেকে এই রীতি ঘিরে পৌরানিক কাহিনীদেখে নেওয়া যাক।
ভূতচতুর্দশী ঘিরে কাহিনি
কথিত রয়েছে দানব রাজ বলি, একটা সময় স্বর্গ , মর্ত্য , পাতাল দখলে রাখতে নির্বিচারে হত্যা শুরু করে। দেবতারাও তাদের রোষ নজরে আসে। এমন সময় বামনের ছদ্মবেশ ধারন করে রাক্ষসরাজ বলির কাছে বিষ্ণু তিন পা জমি ভিক্ষা চান। তাতে রাক্ষস রাজ রাজি হতেই, বিষ্ণু দুটি পায়ের একটি মর্ত্যে, একটি স্বর্গে রাখলেন। আর আরেকটি পা তাঁর নাভি থেকে বেরিয়ে এল। সেটি তিনি রাখলেন পাতালে। এমন ছলনার পর বলিক কিছুটা করুণা দেখিয়ে বিষ্ণু বলেন, প্রতি বছর রাক্ষস রাজ ও তার সাক্ষপাঙ্গের পুজো হবে পৃথিবীতে। আর সেই পুজোর তিথিই ভূত চতুর্দশী।
১৪ শাকের প্রথম ৪ শাকের গুণ
বেতে শাক কৃমিনাশক,কোষ্ঠবদ্ধতা দবর করে। কালকাসুন্দা ত্বকের সমস্যা ও আ্যালার্জির সমস্যা রোধ করে। নিমের উপকারিতা অগনিত, সংক্রমণ থেকে সুরু করে বহু রোগ মেটায় নিম। জয়ন্তী শাকে বহুমূত্র, জ্বর কমে যায়।
গুলঞ্চ, শুষনি, পলতার গুণ
গুলঞ্চের রস সেবনে কুষ্ঠ, বাতিরক্ত, জ্বল নাশ হয়। শুষনি শাকে হাঁপানি, শ্বাস কষ্টজনিত রোগ কম হয়। পলতা শাকে শ্বাসজনিত রোগ কমায়। বাড়িয়ে তোলে রক্ত, লিভারের রোগ কমায়।
হিঞ্চে থেকে পুঁইশাকের গুন
হিলঞ্চ বা হিঞ্চে শাকে রক্ত হিমোগ্লোবিন বাড়ে। রক্তশোদ হয়। পালং শাক রোগ প্রতিরোধী। লালশাকে ভিটামিন এ থাকে। অন্ধত্ব জাতীয় রোগ কমায়। পুঁইশাকে থাকে একাধিক ভিটামিন ।
কলমি থেকে নোটের গুণ
কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থাকে। এতে হাড় শক্ত হয়, কাটায় রক্ত শূণ্যতা। নোটেশাক রক্ত পরিষাকর করে। মেদ কমায়। মেথি শাক তারুণ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ধনতেরাস ২০২০: কোন ৬টি উপায় আপনাকে কোটিপতি করতে পারে! জানুন 'ধনত্রয়োদশী টিপস'