এই বছর কবে পালিত হবে বসন্ত পঞ্চমী? জেনে নিন পুজোর নিয়ম ও বিদ্যা লাভের উপায়
বসন্ত পঞ্চমী কবে?
হাতে আর মাত্র কিছুদিন। তার পরেই সরস্বতী পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে দেশ তথা রাজ্যবাসী। বাংলায় সরস্বতী পুজোর দিন মাঘী পঞ্চমী হিসেবে বলা হয় এই বিশেষ দিনটিকে। পাশাপাশি গোটা দেশে এই বিশেষ দিনটি বসন্ত পঞ্চমী নামে পালিত হয়। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমীর দিন বসন্ত পঞ্চমী নামে পালন করা হয়ে থাকে গোটা দেশে। এই দিন বিদ্যার দেবী ব্রহ্ম স্বরূপা মহাশ্বেতার আরাধনা করা হয় বিদ্যা ও বুদ্ধি লাভের প্রার্থনা করে। দেখা যাক এই বছর বসন্ত পঞ্চমীর দিনক্ষণ, পুজোর শুভক্ষণ ও নিয়মাবলী।
বসন্ত পঞ্চমীর গুরুত্ব
সনাতন হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ব্রহ্মার মুখ থেকে দেবী সরস্বতী আবির্ভূত হন। এই কারণেই বসন্ত পঞ্চমীর দিন দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দেবীকে পূজা করলে জ্ঞান ও বিদ্যার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, বসন্ত পঞ্চমী শ্রী পঞ্চমী নামেও পরিচিত। বসন্ত পঞ্চমীর দিনটি শিক্ষা বা কোনো নতুন কাজের জন্য শুভ। এছাড়াও এই দিনটিকে গৃহপ্রবেশের জন্যও শুভ বলে মনে করা হয়।
শুভ দিন
এই বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব পালিত হতে চলেছে ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার। এই দিনে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী, বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকেই বসন্ত ঋতু শুরু হয়। তাই এই দিনের মহত্ব অনেক বেশি।
সরস্বতী পুজোর কিছু বিধি
বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীকে খুশি করার জন্য বসন্ত পঞ্চমী সবথেকে শুভ দিন। স্নানের পর সাদা বা হলুদ কাপড় পরে পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসে পূজা শুরু করা সবথেকে শুভ বলে মনে করা হয়। হলুদ বস্ত্রের উপর মা সরস্বতীকে প্রতিষ্ঠা করা উচিত। এরপর রোলি চন্দন, জাফরান, হলুদ, অক্ষয় চাল, হলুদ ফুল, হলুদ মিষ্টি, চিনি, দই, মায়ের সামনে রাখতে হবে। পুজোর সময় বাগদেবীর পায়ে শ্বেত চন্দন, সাদা বা হলুদ ফুল অর্পণ করতে হবে। জাফরান মিশ্রিত পায়েস বা ক্ষীর নিবেদন করা খুব শুভ বলে মনে করা হয়।
বসন্ত পঞ্চমীর জপ
এমনিতেই
মা
সরস্বতীর
নানা
রকম
মন্ত্র
আছে
যা
অঞ্জলি
বা
প্রণাম
মন্ত্র
হিসেবে
আমরা
কম
বেশি
সকলেই
জানি।
কিন্তু
জ্ঞান
অ
বিদ্যার
বিশেষ
আশীর্বাদ
লাভ
করতে
হলে
হলুদ
বা
স্ফটিকের
মালা
দিয়ে
'ওম
সরস্বত্যায়
নমঃ'
এই
মন্ত্রটি
১০৮
বার
জপ
করলে
টা
অত্যন্ত
শুভ
বলে
মানা
হয়।