করওয়া চৌথে তৈরি হচ্ছে শুভ সংযোগ! এই মুহূর্তে পুজো করলে স্বামী–স্ত্রী সম্পর্ক হবে মজবুত
স্বামী দীর্ঘায়ুর জন্য রাখা করওয়া চৌথের ব্রত কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্থী তিথিতে করা হয়ে থাকে। এই বছর করওয়া চৌথের ব্রত ১৩ অক্টোবর পালন করা হবে এবং এইদিন খুব শুভ সংযোগ তৈরি হচ্ছে। এই শুভ সংযোগের সময় এইদিন বিধি-বিধান মেনে চৌথ মাতা ও চন্দ্রমার পুজো স্বামী-স্ত্রীর জন্য খুবই শুভ ফল দেবে। দাম্পত্য জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
করওয়া চৌথ আসলে কি
হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল করওয়া চৌথ। এ দিন স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে নির্জলা উপবাস রাখেন মহিলারা। প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই উপবাস রাখা হয়। এদিন স্নান করে ব্রতর সংকল্প করেন। তার পর সকলের সঙ্গে মিলে করওযা চৌথ ব্রতকথা শোনেন ও রাতে চাঁদ দেখার পর উপবাস ভঙ্গ করেন।
করওয়া চৌথ ২০২২–এর পুজোর জন্য শুভ মুহূর্ত
রোহিনী নক্ষত্রে চন্দ্রমার পুজো করা খুবই শুভ ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই বছর করওয়া চৌথের দিন সন্ধ্যার সময় রোহিনী নক্ষত্র থাকবে। রোহিনী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে যাবে। এই সময় পুজো করা সবচেয়ে সেরা হবে বলে মনে ক রাতরা হচ্ছে। অন্যদিকে চন্দ্রমা দেব উদয় হওয়ার সময় অর্থাৎ করওয়া চৌথের চন্দ্রোদয় ৮টা বেজে ১৬ মিনিটে হবে।
করওয়া চৌথ ২০২২–এ তৈরি হচ্ছে শুভ সংযোগ
এই বছর করওয়া চৌথে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে। করওয়া চৌথ ব্রতের দিন শুরু হচ্ছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ দিয়ে। এছাড়া ১৩ অক্টোবর শুক্র ও বুধ গ্রহ একই রাশি কন্যায় থাকার কারণে লক্ষ্মী-নারায়ণ যোগ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে বুধ ও সূর্য একটি রাশিতে থেকে বুধাদিত্য যোগ তৈরি হচ্ছে। শনি স্বরাশি মকর ও বৃহস্পতি স্বরাশি মীনে রয়েছে। এর পাশাপাশি চন্দ্রমা নিজের উচ্চ রাশি বৃষে রয়েঠে। সব মিলিয়ে এই সব গ্রহ খুবই শুভ স্থিতি তৈরি করছে। এইজন্য এই শুভ স্থিতিতে করা পুজো-পাঠ স্বামী-স্ত্রীর জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসবে।
বিবাহিত স্ত্রীয়েরা রাখবে কঠিন নির্জলা ব্রত
করওয়া চৌথের দিন মহিলারা সাজ-শৃঙ্গার করে নির্জলা ব্রত রাখে। ব্রতের সূচনা হয় সূর্যোদয়ের আগে সরগী খাওয়ার পর এবং চাঁদ দেখার পর ও পুজোর পর এই ব্রত ভাঙা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এটা করলে স্বামীর দীর্ঘায়ু হয়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)