হলহারিণী অমাবস্যা কী! এই দিনে কোন কোন কাজ করলে পিতৃপুরুষেরা সন্তুষ্ট থাকেন?
হলহারিণী অমাবস্যা কী! এই দিনে কোন কোন কাজ করলে পিতৃপুরুষেরা সন্তুষ্ট থাকেন?
হিন্দুধর্মে অমাবস্যার এক বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কৃষ্ণপক্ষের শেষ দিনে পড়ে অমাবস্যা তিথি। এই দিনে পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনার জন্যও তর্পণ করা হয়। আষাঢ় মাসে পড়া অমাবস্যা আষাঢ়ী অমাবস্যা বা হলহারিণী অমাবস্যা বা আষাঢ় অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই অমাবস্যার এক বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। চলতি বছরে এবার এই অমাবস্যা পড়ছে জুন মাসের ২৯, বুধবার। এই তিথিতে কিন্তু বিষ্ণুরও পুজো করা হয়। অনেক সময় সংসারে উন্নতিতে বাধার সৃষ্টি হয়। বাড়তি খরচ বাড়তে থাকে। সুখ চলে যায়। পারিবারিক অশান্তি বাড়তে থাকে। এর সঠিক অর্থ আমরা অনেক সময় খুঁজে পাই না। তা কিন্তু অনেক সময় পিতৃপুরুষেরা অসন্তুষ্ট থাকলে, এমন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই তাঁদের সন্তুষ্ট ও শান্ত রাখার জন্য এই বিশেষদিনে এই কাজগুলি করা খুব ভালো।
কখন শুরু হচ্ছে আষাঢ়ী অমাবস্যা
এবার অমাবস্যা তিথি ২৮ জুন সকাল ৫ টা ৫২ মিনিটে শুরু হবে আর তা শেষ হবে ২৯ জুন সকাল ৮ টা ২১ মিনিটে। উদয়তিথি অনুসারে, অমাবস্যা শুধুমাত্র ২৯ জুন পালিত হয়। কথিত আছে এই বিশেষ দিনে নদীতে স্নান ও দারিদ্রকে দান করলে জীবনে পুণ্য হয়। এই দিনেও কিন্তু পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনার জন্যও তর্পণ পর্যন্ত করা হয়।
এই দিনে পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করুন
বলা হয় আষাঢ় অমাবস্যার দিনে স্নান সেরে পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করলে তাঁদের আত্মার শান্তি পায়। এই দিনে, তর্পণ করার সময় কালো তিল জলে নিবেদন করা ভালো।
কোন কোন কাজ করলে পূর্বপুরুষেরা খুশি হন
এই দিনে পিতৃপুরুষদের জন্যও শ্রাদ্ধ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অমাবস্যা তিথিতে শ্রাদ্ধ করলে পূর্বপুরুষদের থেকে পাওয়া দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আষাঢ় অমাবস্যার দিন পিতৃদেবের জন্য পিন্ড দান ইত্যাদি করুন। এতে করে পিতৃপুরুষরা প্রসন্ন ও সন্তুষ্ট হন। তারা বংশধরদের আশীর্বাদ দেন।
এই বিশেষদিনে পিতৃপুরুষদের সন্তুষ্ট করার জন্য ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো খুব ভালো বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে আপনার সামর্থ্যমত তাঁদের কিছু দান করুন এবং দক্ষিণা দিন। এটি করলে পিতৃপুরুষরা শান্ত থাকেন। এবং সকল কাজে আপনি তাঁদের আশীর্বাদে সাফল্য পাবেন।
এই অমাবস্যার দিনে বাড়িতে গরুড় পুরাণ পাঠ করা খুব ভালো বলে মনে করা হয় পূর্বপুরুষদের জন্য তৈরি খাবারের কিছু অংশ কাক, কুকুর, গরুকে খাওয়ান।
(এই সকল তথ্য জ্যোতিষ নির্ভর। সকলের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে)
বাস্তু অনুযায়ী পর্দা লাগান বাড়িতে, সুখ–সমৃদ্ধি পাবেন খুব শীঘ্র, বজায় থাকবে শান্তি