
রাহু-মঙ্গলের প্রভাবে তৈরি হচ্ছে অঙ্গারক যোগ, বাড়বে বিবাদ ও দুর্ঘটনার প্রবণতা
ইতিমধ্যেই ২৭ জুন রাশি পরিবর্তন করেছেন গ্রহদের সেনাপতি মঙ্গল। আর এই ঘটনার জেরে সকল রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনে নানা ক্ষেত্রেই বিতর্ক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মেষ, বৃষ, সিংহ, কন্যা, তুলা, ধনু, মকর ও মীন রাশির জাতকদের সতর্ক থাকতে হবে। এই রাশির জাতকরা অকারণে রেগে যাবেন। যার কারণে নানা ক্ষেত্রে বিরোধের পরিস্থিতিও তৈরি হবে। এই রাশির জাতক জাতিকাদের সতর্ক থাকতে হবে কারণ ৩৭ বছর পর মেষ রাশিতে মঙ্গল আসার সঙ্গে সঙ্গে আবার 'অঙ্গারক' যোগ তৈরি হবে। যার কারণে মারামারি, ঝগড়া, অর্থহানি, ঋণ, আঘাত ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। এই অশুভ যোগ সমস্ত রাশির জীবন পাশাপাশি দেশ ও বিশ্বের উপর প্রভাব ফেলতে চলছে।

অঙ্গারক যোগের সময়কাল
২৭ জুন সদ্য মঙ্গল স্থান পরিবর্তন করে তাঁর নিজস্ব রাশি অর্থাৎ মেষ রাশিতে প্রবেশ করেছে। যেখানে ইতিমধ্যেই ছায়া গ্রহ রাহু অবস্থান করে রয়েছেন। আর এই দুই গ্রহের মিলনের ফলে মেষ রাশিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী'অঙ্গারক' যোগ তৈরি হতে চলেছে। এই যোগ চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে এটি ঘটেছিল ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে যখন মেষ রাশিতে মঙ্গল এবং রাহুর সংযোগ তৈরি হয়েছিল। মঙ্গল সমস্ত গ্রহের সেনাপতির মর্যাদা পেয়েছেন। সেই কারণে অঙ্গারক যোগের ফলে আরও বেশি বিবাদ বৃদ্ধি করবেন মঙ্গল।

অঙ্গারক যোগের প্রভাব
মঙ্গল মেষ ও বৃশ্চিক রাশির অধিপতি হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকেন। আর তাই নিজের রাশিতেই এই যোগ তৈরি হওয়ার ফলে এর প্রভাব আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। এই গ্রহটি বর্তমানে তার নিজস্ব রাশিতে রয়েছে। যার কারণে এর শুভ ও অশুভ ফল বৃদ্ধি পাবে। একই সময়ে, রাহুকে একটি অশুভ গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মঙ্গলের সঙ্গে রাহুর এই মিলনের ফলে উৎপন্ন অঙ্গারক যোগ বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি করতে চলেছে এর ঝগড়া ও বিবাদ। অর্থাৎ এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে যে এই অশুভ যোগের কারণে অনেকে নিজের পাশাপাশি অন্যেরও ক্ষতি করবে।

অঙ্গারক যোগের ফলাফল
অঙ্গারক যোগ গঠনের কারণে ঋণ, ব্যয়, রোগ, অর্থ ক্ষতি এবং বিবাদ বৃদ্ধি পায়। অতএব, সমস্ত রাশির জাতক জাতিকাদের এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। এই অশুভ যোগের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোতে বিশেষ করে ভূমিকম্প, বজ্রপাত, অগ্নিসংযোগ, ল্যান্ড স্লাইড, সড়ক, সেতু ধস ও বন্যা সম্ভব হবে। অনেক জায়গায় দাঙ্গা ও বিক্ষোভও হবে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই সময় দেশে দাঙ্গা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে।

এইভাবে
মঙ্গল ও রাহুর মিলনে তৈরি হওয়া এই অঙ্গারক যোগের প্রভাব এড়ানোর জন্য বজরংবলীর পূজা করা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই কাজের ফলে মঙ্গলের অশুভ প্রভাব কমে। তাই হনুমানজির পূজা করা ভালো। সুন্দরকাণ্ড বা হনুমান চালিসাও পাঠ করা শুভ হবে। এই সময় বজরংবলীকে সিঁদুর ও লাল ফুল অর্পণ করুন। প্রতিদিন মন্দিরে তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালান। লাল ফল, লাল চন্দন, লাল কাপড়, গুড়, মসুর, গম, তামা, সোনা, জাফরান, কস্তুরী বা প্রবাল দান করলে মঙ্গলের অশুভ প্রভাব কমে যায়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
মেষ রাশিতে মঙ্গলের গোচর, ১০ অগাস্ট পর্যন্ত এই রাশিদের থাকতে হবে সাবধানে