অম্বুবাচী ২০২১ এর দিন, তিথি ও নেপথ্যের কিছু কাহিনি একনজরে
অম্বুবাচী হিন্দু ধর্মের একটি অতি প্রাচীন পার্বণ। এপার্বণ ঘিরে যেমন ধার্মিক বিশ্বাস রয়েছে তেমনই জড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতিকে আরাধনা করার একটি দিক। এই পার্বণ ঘিরে অসমের কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশাল মেলার আয়োজন হয়। এই সময় বিশেষ তন্ত্রও উদযাপিত হয়। একনজরে এই তিথি নিয়ে কিছু বিশেষ তথ্য দেখা যাক।
কবে পড়ছে অম্বুবাচী?
মঙ্গলবার ২২ জুন পড়ছে অম্বুবাচী। সেদিন বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ৭ আষাঢ়। এমন দিনে দুপুর ২.০৭ মিনিট থেকে অম্বুবাচী পড়ছে। টানা তিনদিন ধরে চলবে এই পার্বণ। ২০২১ সালে এই তিথি শেষ হচ্ছে ২৫ জুন। অর্থাৎ ১০ আষাঢ়। ২৫ জুন রাত ২:৩০ মিনিটে ছাড়ছে অম্বুবাচী।
কোন কাহিনি প্রচলিত রয়েছে অম্বুবাচীকে ঘিরে?
হিন্দু ধর্ম অনুসারে বাৎসরিক পুজো পালিত হয় অম্বুবাচীর সময়ে। বেদ মতে পৃথিবীকে মা মাতৃরূপে দেখা হয়। মনে করা হয় আষাঢ়ের এই সময় ধরিত্রী ঋতুমতী হন। যার হাত ধরে আসে শস্যশ্যামলা বসুন্ধরা। নারীর সঙ্গে সন্তানের যেমন সম্পর্ক তেমনই ধরিত্রীর সঙ্গে ফসলের সম্পর্ককে কল্পনা করেই এই উৎসব পালিত হয়। 'অম্বুবাচী' শব্দটি এসেছে অমাবতী থেকে। এই নামেও মা বা নারী শক্তির বার্তা আসে।
অম্বুবাচীতে কামাক্ষ্যায় বিশেষ তন্ত্র ও নেপথ্যের কাহিনি
অসমের কামাক্ষ্যায় বিশেষ পুজো পালিত হয় অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে। এই তিনদিন সময়ের মধ্যে কামাক্ষ্যা থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত দেবীস্থানে দরজা বন্ধ থাকে। স্পর্শ করার নিয়ম থাকে না দেবীকে। শাস্ত্র মতে, সতীর গর্ভ ও যোনি পড়েছিল কামাক্ষ্যায়। সেই সময় থেকে এই জায়গা পবিত্র সতীপীঠ। এখানে অম্বুবাচীর সময় বিভিন্ন তন্ত্রের আরাধনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
অম্বুবাচী রীতি
কথিত রয়েছে অম্বুবাচীর সময় বিধবা মহিলারা সন্ন্যাসীরা পৃথিবীকে মাতৃ রূপে দেখে তাঁর ঋতুমতী হওয়াকে ঘিরে একাধিক ব্রত পালন করেন। ফলে ধরিত্রীর উপর এঁরা কাঠ কয়লা বা আগুন জ্বালান না। যাতে ধরিত্রীর কষ্ট হয়। সেই মতে বিশ্বাসী হয়ে এই ৩ দিন ফলাহার করে কাটান এঁরা।