এই ছবিগুলি বাড়িতে রাখলে অশান্তি–সমস্যা বেড়েই যাবে, জেনে নিন বাস্তুশাস্ত্রের নির্দেশ
বাস্তু শাস্ত্রে কিছু বাস্তু দোষকে খুউব অশুভ বলে মানা হয়। এই বাস্তু দোষের জন্য বিনা কারণে সমস্যা বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে আচমকাই অর্থ হানি হতে শুরু করে। বাস্তু বিশারদ জানিয়েছেন যে বাড়িতে বড় কোনো বাস্তু দোষ থাকলে তা দ্রুত সনাক্ত করতে হবে। বাস্তুর ত্রুটি চিহ্নিত করে তার প্রতিকার করাও প্রয়োজন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির কিছু ছবি নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে। বাড়িতে ভুলেও এগুলি লাগানো উচিত নয়। বাড়িতে কোন কোন ছবি টাঙানো ঠিক নয় জেনে নিন।

ডুবে যাওয়া জাহাজ
অনেকেই তাঁদের বাড়িতে ডুবে যাওয়া টাইটানিক বা ডুবে যাওয়া জাহাজের ছবি লাগান। কিন্তু বাস্তশাস্ত্র মতে, ডুবে যাওয়া নৌকা বা জাহাজের ছবি লাগানো অশুভ। এ ধরনের ছবিকে দুর্ভাগ্যের প্রতীক ধরা হয়। এ ধরনের ছবি লাগানোর ফলে বাড়িতে বিরক্তির সম্ভাবনা ও আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।

নটরাজের ছবি
বাস্তু মতে নটরাজের মূর্তি বাড়িতে থাকা ঠিক নয়। ভগবান শিবের তাণ্ডব রূপের মূর্তি হল নটরাজ। এই অবতারে শিব ধ্বংস করতে অবতীর্ণ হয়েছেন, তাই এ ধরনের ছবি বা মূর্তি বাড়িতে থাকা ঠিক নয়।

কাঁটা দেওয়া গোলাপের ছবি
সাধারণত গোলাপ ফুল পুজোর জন্য শুভ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাস্তু মতে এই ফুলকে নেতিবাচক ক্ষমতা দেয় বলে মনে করা হয়। আসলে কাঁটা দেওয়া গোলাপ ফুলের ছবি ঘরে লাগাও উচিত নয়। এর থেকে উৎপন্ন নেতিবাচক শক্তি বাড়ির সদস্যদের একে-অপরের প্রতি সম্পর্ক খারাপ করে দেয়।

যুদ্ধের ছবি
অনেকেই তাঁদের বাড়িতে মহাভারত বা অন্য কোনও যুদ্ধের ছবি লাগিয়ে থাকেন। বাস্তু শাস্ত্রে এ ধরনের ছবিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এই ধরনের ছবির কারণে বাড়িতে সারাক্ষণ ঝগড়া হতে থাকে। এছাড়াও ঘরের মধ্যে সুখ-শান্তির বাতাবরণ কখনও থাকে না। এজন্য যুদ্ধের ছবি কখনও বাড়িতে টাঙানো ঠিক নয়।

ক্রন্দনরত শিশুর ছবি
প্রসঙ্গত, ঘরে শিশুর ছবি রাখলে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। কিন্তু, ক্রন্দনরত শিশুদের ছবি রাখা অশুভ। এতে ঘরে দুর্ভাগ্য আসে। এছাড়াও বাড়ির লোকজনের মধ্যে ঝগড়া কখনই থামে না।

আর কোন কোন ছবি রাখা অশুভ
কোনও অস্বাভাবিক চেহারার মুখোশ বাড়িতে রাখা ঠিক নয়। বাড়িতে কোনও গলা কাটা বা কোনও শিকারের ছবি একদম রাখা উচিত নয়। তবে বাড়ির দক্ষিণ দেওয়ালে লাল সুতো দিয়ে ফিনিক্স পাখি ঝুলিয়ে রাখলে গৃহে শান্তি ফিরে আসে।