করোনার ভবিষ্যদ্বাণী ১০,০০০ বছর আগে ভারতীয় শাস্ত্রে ছিল! কীসের উল্লেখ উঠে আসছে
করোনার প্রবল দংশনের হাত থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে? এই প্রশ্ন এখন সকলেরই মনে। কীভাবে এই বিশ্বমহামারীর ছোবল কাটিয়ে উঠবে মানব সভ্যতা এখন তা নিয়ে চর্চা চলছেই।
করোনার প্রবল দংশনের হাত থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে? এই প্রশ্ন এখন সকলেরই মনে। কীভাবে এই বিশ্বমহামারীর ছোবল কাটিয়ে উঠবে মানব সভ্যতা এখন তা নিয়ে চর্চা চলছেই। এমন পরিস্থিতিতে উঠে আসছে বেশ কিছু পুরনো ভবিষ্যদ্বাণীর তথ্য। যেখানে কয়েক দশক আগেই করোনার মহামারী সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয় বলে খবর। দেখে নেওয়া যাক এমনই একটি তথ্য।
কোন ভারতীয় শাস্ত্রে করোনা মহামারীর ইঙ্গিত?
একটি রিপোর্ট বলছে , প্রায় ১০০০ বছর আগে 'নারদ সংহিতা'য় করোনার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। সেখানে এই মহামারীর কুপ্রভাব নিয়েও বেশ কিছু ইঙ্গিত দেওয়া রয়েছে বলে দাবি করেছে সর্বভারতীয় সংবদাপত্রের একটি রিপোর্ট।
কী বলা হয়েছিল শাস্ত্রে?
বলা হচ্ছে, নারদ সংহিতায় রয়েছে, ২০১৯ সালের শেষে যে সূর্যগ্রহণ হয় স সেই সময় থেকেই এক মহামারীর প্রভাব বিশ্বকে তছনছ করবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সূর্যগ্রহণ হয়েছে এবং সেই সময় থেকেই চিনে করোনার প্রাদুর্ভাব ধরা পড়ে। এছাড়াও এই সময়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধের ইঙ্গিত রয়েছে এই সংহিতায়। যে একই ইঙ্গিত ফরাসী জ্যোতিষবিদ নস্ত্রাদামুসও দিয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে।
কোন নির্দেশ ছিল শাস্ত্রে?
শাস্ত্রে বলা রয়েছে, যেদিন পূরভদ্র নক্ষত্র শনির পথে অসে দাঁড়াবে সেদিনই চরম মহামারী ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সালের পূরভদ্র নক্ষত্র বেশ কিছু নক্ষত্রের সঙ্গে মহাকাশে জোটবদ্ধ হয়। মনে করা হচ্ছ, ওই দিনই এটি শনির পথে এসেছিল। এমন দাবি করছেন অনেকে। তবে ডিসেম্বর থেকেই যে চিনের উহানে করোনার প্রকোপ দেখা গিয়েছে , তা বলাই বাহুল্য।
কতদিন থাকতে পারে এই মহামারী?
উল্লেখ্য, জ্যোতিষবিদরা একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন করোনা নিয়ে। তবে নারদ সংহিতা বলছে ভারতে এই করোনা প্রভাব আসার পর কয়েক মাস তা স্থায়ী হবে।
(বিষয়টি নিয়ে বিশদ জানতে চোখ রাখুন 'ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা'র জ্যোতিষ পেজ-এ)