সকাল ১০ টা ২০ মিনিট। হঠাৎ কেঁপে উঠল বাড়িটা। বেশ খানিকক্ষণ সেই কম্পন স্থায়ী হতেই ভয় পেয়ে যান শিলিগুড়ির শান্তিনগরের যুবক সম্রাট দাস। বাড়ির সবাইকে নিয়েই তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ে বেয়ে নামতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
শিলিগুড়িতে ভূমিকম্পের আতঙ্ক কেড়়ে নিল এক প্রাণ। শুধু তিনিই নন, উত্তরবঙ্গের বহুতলগুলি থেকে এবং অন্যান্য বাড়ি-ঘর থেকে রাস্তায় নেমে আসেন আতঙ্কিত মানুষ। এরই মধ্যে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয় সম্রাটের। উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প দীর্ঘসময় স্থায়ী হওয়ায় এবং তীব্রতা অপেক্ষাকৃত বেশি অনুভূত হওয়ায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। এমনকী জলপাইগুড়িতে মর্নিংস্কুলগুলিতে ছুটি দিয়ে দেওয়া তৎক্ষণাৎ।
বছরখানেক আগেও একবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি কেঁপে উঠেছিল তীব্র ভূমিকম্পে। সেবারও ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অসম। এবারও কম্পনের উৎসস্থল অসমের কোকরাঝাড়। ২৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পে আতঙ্কের রেশ ছড়াল আশেপাশের সমস্ত রাজ্য ও দেশেও। আফটার-শকের আতঙ্কে সবাই রাস্তায় নেমে আসে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৫। বড়সড় ক্ষতি না হলেও, আতঙ্কের রেশ কাটতে সময় লেগে যায়। কালিম্পং থেকে কাকদ্বীপ অনুভূত হয় কম্পন। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ দিন ১০ আগেই ভূমিকম্পের স্বাদ পেয়েছিলেন। হুগলির পান্ডুয়া ছিল সেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এবার অসমের কোকরাঝাড়ের ১৩ কিমি গভীরে যে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল, সেই ভূমিকম্পের বিস্তার ছিল অনেক বেশি।