ডিএ মামলার নিষ্পত্তি ঘটেছে হাইকোর্টে। বহু প্রতীক্ষিত জয় এসেছে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর। কিন্তু ডিএ কত বাড়বে, তার ফয়সালা হয়নি এখনো। এবার সেই উদ্যোগ শুরু হল। ডিএ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসল স্যাট। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ডিএ মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকারকে।
স্যাট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৪ অক্টোবর। উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রায় দেয়, ডিএ কোনও দয়ার দান নয়, ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। রোপা আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পেয়ে থাকেন। হাইকোর্ট এরপর ডিএ মামলারটি পাঠিয়ে দেয় স্যাটে। স্যাটকে নির্দেশ দেওয়া হয় দুমাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের হারে ডিএ প্রাপ্তির হার স্থির করতে। এরপরই স্যাট সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাজ্য সরকারের কাছে চাওয়া হয় হলফনামা। সরকারি কর্মীরা ২০১৬ সালে স্যাটেই মামলা দায়ের করেছিলেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে স্যাট রায় দেয়, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দয়ার দান। সেটা সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে সরকারের ইচ্ছার উপর। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মার্চ মাসে হাইকোর্টে যায় সরকারি কর্মী সংগঠন। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরফের ডিভিশন বেঞ্চ স্যাটের রায়কে খারিজ করে দেয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় ৪৭ শতাংশ ডিএ কম পান। সেই নিরিখেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা কত হারে ডিএ পাবেন, তা স্থির হবে স্যাটে। উল্লেখ্য, ১৭ মাসের যুদ্ধ-শেষে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ঐতিহাসিক জয় পান। কিন্তু কত শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি হবে, তার জন্য সরকারি কর্মীরা প্রতীক্ষায় স্যাটের রায়ের উপর। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আশাবাদী যে, তাঁরা এবার স্যাটের রায়েও সুবিচার পাবেন। হাইকোর্ট তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, এবার আর স্যাট মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারবেন না।