জেলবন্দী পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের স্ত্রী বেগম কুলসুমের মৃত্যু হল লন্ডনের হাসপাতালে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৪-র জুন থেকে লন্ডনের হার্লে স্ট্রিটের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার রাতেই ৬৮ বছরের বেগম কুলসুমে অবস্থা খারাপ হয়। ফুসফুসের সমস্যা শুরু হয়েছিল তাঁর। নওয়াজ শরিফের ভাই পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ টুইট করে এই মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেগম কুলসুম আর তাঁদের মধ্যে নেই। নওয়াজ শরিফ, তাঁর কন্যা মারিয়ম এবং জামাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মহম্মদ সফদার এই মুহুর্তে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় জুলাই মাসে তাদের বন্দি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জেলবন্দী ওই তিনজনকেই বেগম কুলসুমের মৃত্যু সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শরিফের পরিবারের তরফে থেকে বেগম কুলসুমের দেহ পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেগম কুলসুমের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আইন আনুযায়ী বেগম কুলসুমের শেষকৃত্যে পরিবারকে সবরকমের সাহায্য করা হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কুলসুমের গলায় ক্যানসার ধরে পড়েছিল। একাধিকবার অস্ত্রোপচারও হয় তাঁর। কেমোথেরাপিও নিয়েছিলেন তিনি। বেগম কুলসুম পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রেসিডেন্টের পদেও ছিলেন ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সালে। সামরিক শাসক পারভেজ মুশারফের ক্ষমতা দখলের পর থেকে নওয়াজ শরিফের অনুপস্থিতিতে কয়েকবছর ওই দায়িত্বে ছিলেন কুলসুম। ১৯৫০-এ লাহোরে এক কাশ্মীরি পরিবারে জন্ম কুলসুমের। লাহোরের ফরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি উর্দুতে মাস্টার ডিগ্রি করেছিলেন। ১৯৭১-এ নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মারিয়ম ছাড়াও তাঁর অপর তিন সন্তানরা হলেন হাসান, হুসেন এবং আসমা।