উত্তর আটলান্টিকের পথ ধরে প্রবল বেগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। ঘণ্টায় তার গতিবেগ ২৫০ কিমির আশেপাশে। উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনার দিকে ধেয়ে আসছে এটি। মনে করা হচ্ছে এই প্রদেশগুলিতে ২২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যে ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনও ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তৈরি বলে জানানো হয়েছে।
দুই ক্যারোলিনার পাশাপাশি ভার্জিনিয়ার উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। উইলমিংটন, মাইরটিল সৈকত, রালেই, নরফোক এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব টের পাওয়া যাবে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সমুদ্রপথ পেরিয়ে মার্কিন মুলুকে হামলে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। এর আগে কোনওদিনও ক্যারোলিনায় ৫ ক্যাটেগরির ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েনি। ৪ মাত্রা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বেশ কয়েকবার। ১৯৫৪ সালে হেজেল, ১৯৫৯ সালে গ্রেসি, ১৯৮৯ সালে উগো নামে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ক্যারোলিনায় টের পাওয়া গিয়েছে। ১৯৯৬ সালে ঘূর্ণিঝড় ফ্র্যানের প্রভাবও কম ছিল না। ১৯৯৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফ্লয়েড উত্তর ক্যারোলিনায় ব্যাপক তাণ্ডব মাতায়। আবহাওয়া বিদেরা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন। অন্তত ১৫০ সেমি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বহু ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তবে তার চেয়ে এটি আলাদা। অর্থাৎ পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।