ভারতের জাতীয় রাজনীতি তথা সমাজবোধে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কোনও দিনই ম্লান হবে না। তিনি একটা গোটা জাতিকে ঝুঁকি নিয়ে লড়বার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আর তাই তিনি সকলের 'নেতাজি'। 'নেতাজি' বলতে বাঙালি একজনকেই বোঝে তিনি সুভাষ চন্দ্র বসু। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি এই 'দেশনায়ক' -এর জন্ম লগ্ন । আর সেই জন্মদিবস আজও সসম্মানে পালিত হয় এদেশের বিভিন্ন জায়গায়।
নেতাজির জীবনদর্শনই ছিল স্বাধীন দেশের সামাজিক উন্নতি। আর সেই পথে এগোবার জন্য তাঁর বিভিন্ন উক্তিগুলি রীতিমত অনুপ্রেরণা দেয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি।
শুধুমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা জেতা যায়। তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!....যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।
কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।
মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেবে।
আমরা যখন দাঁড়াব, আজাদহিন্দ ফৌজকে গ্র্যানাইটের দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা যখন মার্চ করব তখন আজাদহিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলার হতে হবে।
যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়.
জীবনকে এমন একটি ভাব ধারার মধ্য়ে তুলে ধরতে হবে, যাতে সত্যতা পূর্ণমাত্রায় থাকে ।
সত্যান্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকব না, বা থাকা উচিত নয়।
আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উৎপাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।
বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে