চিতার মল-মুত্র ছিটিয়ে অভিনব উপায়ে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনার এখনও কত রহস্য যে উন্মোচিত হওয়া বাকী তা বোধহয় ভারতীয় সেনাই শুধু জানে।


২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পরপর কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার কিছুদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা তাতে মারা যায়। তার পাল্টা হিসাবেই পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের জওয়ানরা পাকিস্তানি জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড তছনছ করে দেয়। বহু জঙ্গি মারা যায়।

Advertisement

সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনার এখনও কত রহস্য যে উন্মোচিত হওয়া বাকী তা বোধহয় ভারতীয় সেনাই শুধু জানে।

Advertisement

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজেন্দ্র নিম্ভোরকর সেইসময়ে সেনা অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে মুখ্য ভূমিকা নেন। এদিন এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও চিতা বাঘের মল-মূত্র অপারেশনে ব্যবহার করা হয়েছিল।

অন্ধকারে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ভারতীয় সেনা হামলা চালায়। তার আগে সেই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য চিতার মল-মূত্র ছেটানো হয়। অন্ধকারে সেনার উপস্থিতি জানতে পেরে কুকুর যদি চেঁচিয়ে উঠত তাহলে পুরো পরিকল্পনা বানচাল হতে পারত। আর কুকুর চিতাবাঘের বিষ্ঠার গন্ধ পেলে বুঝবে এলাকায় চিতাবাঘ রয়েছে। ফলে সেদিকে ঘেঁষবে না। এবং সেনার দলও নিশ্চিন্তে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।

Advertisement

নিম্ভোরকর বলেছেন, পরিকল্পনা করার সময় কুকুরের বিষয়টিও সমানভাবে মাথায় রাখতে হয়েছিল। একবার কুকুর চেঁচালে জঙ্গিরা সতর্ক হয়ে যেত। তাই রাস্তায় যেতে যেতে চিতার মল-মূত্র ছেটানো হয়েছিল।

এই হামলার বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছিল বলে নিম্ভোরকর জানিয়েছেন। সেইসময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর সাতদিনের মধ্যে পরিকল্পনা কার্যকর করতে বলেছিলেন। তারপরই গোটা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল।

তবে পরিকল্পনা ফাঁস করলেও কোথায় কোথায় হামলা চালানো হবে, সেই লোকেশন বলা হয়নি সেনাদের। হামলার ঠিক একদিন আগে লোকেশনের বিষয়ে জানানো হয়। প্যারাট্রুপার ও ইনফ্যান্ট্রি সেনা এই হামলা চালায়। জঙ্গিদের গতিবিধি পুরোপু্রি পর্যবেক্ষণ করার পরই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement