'ব্যর্থতা'য় কমতে চলেছে বাজেটের বহর, ২০% বরাদ্দ কমতে পারে কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে
বেশিভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবছরই বাজেটের বহর বাড়ে। কিন্তু এবার কৃষিমন্ত্রকে তরফে পিএম কিষাণ প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশ কম টাকা চাওয়া হয়েছে।
বেশিভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবছরই বাজেটের বহর বাড়ে। কিন্তু এবার কৃষিমন্ত্রকে তরফে পিএম কিষাণ প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশ কম টাকা চাওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে কৃষকদের ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হয় বছরে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য কম টাকা চাওয়া হয়েছে, কেননা এখনও অনেক রাজ্য উপভোক্তাদের চিহ্নিত করতে পারেনি। পাশাপাশি বর্তমান সুবিধা পাওয়া অনেকেরই আধার যাচাই হয়নি।
প্রকল্পের জন্য পরবর্তী অর্থবর্ষে ৬০ হাজার কোটির দাবি
কৃষিমন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোাজনার জন্য সরকারের কাছে ৬০ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। বর্তমান অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্যয় বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৪৪ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে।
সুবিধা পৌঁছেছে ৯.৫ কোটি কৃষকের কাছে
১৪.৫ কোটি কৃষকের কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও, এখনও পর্যন্ত সুবিধা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে ৯.৫ কোটি কৃষকের কাছে। যাঁদের মধ্যে ৭.৫ কোটি কৃষকের আধার পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। বাকি কৃষকদের আধার পরীক্ষা করার পরেই তাঁদের হাতে প্রকল্পের টাকা তুলে দেওয়া হবে। গতমাসে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিম তোমার জানিয়েছিলেন, পিএফ কিষাণ তহবিলের টাকা আধার যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে উপযুক্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রকল্পে আবেদন করেনি পশ্চিমবঙ্গ
এই প্রকল্পে এখনও আবেদন জানায়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই এই রাজ্যের কৃষকদের হাতে প্রকল্পের টাকা পৌঁছে দেওয়া যায়নি।
অনেক রাজ্যের কাজ আশানুরূপ নয়
এই প্রকল্পের কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে বিহারে। সেখানকার একতৃতীয়াংশ কৃষকের কাছে এই সুব্ধি পৌঁছেছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটক তাদের রাজ্যে ৫৫-৬০ শতাংশ কৃষককে চিহ্নি করতে পেরেছে এই প্রকল্পের জন্য। ছত্রিশগড় অর্ধেকেরও কম সংখ্যক কৃষককে এই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করতে পেরেছে। রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ যথাক্রমে ৮০ ও ৮৫ শতাংশ কৃষককে চিহ্নিত করতে পেরেছে।