
ভারতে প্রতি ১০-য়ে ৯ জনের দাবি কর্মক্ষেত্রে আবেগ ভাগ করলে কাজের গতি বাড়ে, রিপোর্ট করোনা পরবর্তী সমীক্ষায়
গত দুই বছরে মানুষের জীবনে একাধিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। মহামারী মানুষের জীবন সম্পর্কে চিন্তাধারার আমুল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তার প্রভাব কর্মক্ষেত্রে পড়েছে। কর্মজীবন নিয়ে মানুষ আগের থেকে অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়েছে বলেই একটি সমীক্ষাতে ধরা পড়েছে। লিঙ্কডইন সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষায় প্রতি ১০ জনে ৯ জন পেশাদার কর্মী মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে নিজেদের আবেগ ভাগ করলে, কাজের মান অনেকটা ভালো হয়। নিজেদের আবেগ একটা অন্যমাত্রা পায়, যা কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করে।

করোনা মহামারীর পর মানুষের মানসিকতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তনে কর্মক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব পড়ছে, এই বিষয়ে লিঙ্কডইন একটা সমীক্ষা চালায়। সেখানে মানিসকতার পাশাপাশি কর্মীদের আচরণে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তনের কথা স্বীকার করছেন খোদ কর্মীরা। লিঙ্কডইনের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারীর পর প্রতি চার জনে তিন জন পেশাদার কর্মী কর্মক্ষেত্রে নিজের আবেগ প্রকাশ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। প্রায় ৭৬ শতাংশ পেশাদার কর্মী নিজের কর্মক্ষেত্রে নিজের আবেগ প্রকাশে স্বাচ্ছন্দের কথা তুলে ধরেছেন। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে নিজেদের আবেগের প্রকাশ ভাগ করার প্রবণতা ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতে লিঙ্কডইনের ম্যানেজার আশুতোষ গুপ্ত বলেন, গত দুই বছর অত্যন্ত টালমাটাল পরিস্থিতি ছিল। সেই সময় মানুষ বুঝতে পেরেছে, সহকর্মীদের সঙ্গে আগের থেকে অনেক বেশি কথা বলা যেতে পারে। নিজের ভাব প্রকাশ করা যেতে পারে। এতে নিজেদেরই ভালোলাগবে। এই সমীক্ষায় প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পেশাদার কর্মী বলেন, তাঁরা বিভিন্ন কারণে বসের সামনে কান্নাকাটি করেছেন। এক তৃতীয়াংশ জানিয়েছে, তাঁরা একাধিকবার বিভিন্ন সময়ে বসের কাছে কান্নাকাটি করেছেন। ঠিক উল্টোদিকে ভারতে ৭০ শতাংশ পেশাদার কর্মী মনে করেন, নিজেদের আবেগ ভাগ করে নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে নানাভাবে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অন্যায়ভাবে মহিলা পেশাদার কর্মীরা আগের থেকে অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পাশাপাশি তাঁরা মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে নিজেদের আবেগ প্রকাশ করলে মানুষ তাঁদের ভুল ব্যাখ্যা করবে। কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি বিচার করা হয়। জেড জেনারেশনের পেশাদার কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আগের থেকে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। সেই দিক থেকে ৫৮-৬০ বছরের কর্মীদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
'একজনকে গ্রেফতার করলে হাজার হাজার সত্যের কণ্ঠের জন্ম হবে’, সাংবাদিক গ্রেফতারির বিরোধিতায় রাহুল
অফিসে হাসি ঠাট্টা নিয়ে সমীক্ষায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। একদল মনে করছে, হাসিঠাট্টাতে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো হয়। আবার ৫৬ শতাংশ পেশাদার কর্মীর অফিসে হাসিঠাট্টাকে অপেশাদার মানসিকতা বলে উল্লেখ করেছেন।