(ছবি) ভারতের এই অচেনা জায়গাগুলিতে একবার যেতেই হবে আপনাকে
ভারতের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা অসাধারণ স্থাপত্য ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য। ঐতিহাসিক বা সমসাময়িকতাকে ধরলে যার গুরুত্ব কোনওদিক থেকে কম নয়।
ভারতের বিপুল সৌন্দর্যের টানে সারা পৃথিবী থেকে অসংখ্য পর্যটক প্রতিবছর এদেশে আসেন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, মুম্বই থেকে মেঘালয় সব প্রদেশই সৌন্দর্য ও ইতিহাসকে আগলে ধরে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি।
নিচের স্লাইডে জেনে নিন ভারতের এমন কিছু জায়গা সম্পর্কে যেখানে এই জীবনে একবার অন্তত যেতেই হবে।
রোজারি চার্চ
কর্ণাটকের শেট্টিহল্লিতে অবস্থিত এই চার্চটি হেমাবতী নদীর তীরে অবস্থিত। ১৮৬০-এর দশকে এটি তৈরি হয়েছিল। তবে সবচেয়ে মজার তথ্য হল, বাঁধের জল ছাড়া হলে এই চার্চটির অর্ধেক জলের তলায় চলে যায়।
ভীমবেটকার গুহাচিত্র
ভারতের নানা রাজ্যে গুহার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তেমনই ভীমবেটকার গুহাও নানা ইতিহাস বহন করে চলেছে। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন গুহাগুলির মধ্যে অন্যতম এই গুহার ভিতরের দেওয়ালে নানা আশ্চর্য চিত্র আঁকা রয়েছে। ইতিহাসবিদেরা জানিয়েছেন, আদিম মানবের হাতে আঁকা এই গুহাচিত্রগুলি।
লেইটলাম খাত
শিলংয়ের এই অঞ্চলটি প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যে অবস্থিত হওয়ায় পর্যটকেদের কাছে ততটা পরিচিত নয় এই জায়গা। উচ্চতা নিয়ে যাদের ভয় রয়েছে, তাদের অবশ্য এখানে যাওয়া উচিত হবে না।
অনন্তপুরা লেক টেম্পল
কেরলে অবস্থিত এই অনন্তপুরা লেক টেম্পলে রয়েছে একটি পুকুর যাতে কুমীর রয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের হল, এই কুমীরটির বয়স প্রায় ১৫০ বছর ও সে সম্পূর্ণ নিরামিশাষী। নিজের চোখে না দেখলে এ ঘটনা বিশ্বাস করা কঠিন।
থোসেঘর ফলস
দেশের নানা জায়গার ঝরনা বা জলপ্রপাতই সাধারণ মানুষকে আকর্ষিত করে। মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূলে অবস্থিত এই সুদৃশ্য জলপ্রপাত সম্পর্কে অনেকেই খুব বেশি তথ্য জানেন না। অচেনা জায়গাটি হয়ে উঠতে পারে আপনার গন্তব্য।
কাস মালভূমি
এই জায়গার নাম অনেকেই শুনেছেন। তবে একবার এখানে আপনার না গেলেই নয়। কারণ এখানে ৮৫০ টি প্রজাতির ফুলের দেখা মেলে।
আশভেম বিচ
বিচ বা সমুদ্র সৈকতের কথা ভাবলেই গোয়ার কথা মাথায় আসে। উত্তর গোয়ায় অবস্থিত এই সৈকতটি অবসর সময় কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ।
শিবসাগর
অসমের এই জায়গাটি সম্পর্কেও বহু মানুষ অতটা পরিচিত নন। এখানে এলে সময়ের সরণি ধরে পিছনে চলে যেতে পারবেন অনায়াসে। অহম রাজবংশের আমলে এখানকার নানা স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল যার প্রতিটি ইট ইতিহাসের সাক্ষী বহন করছে।
দ্রাস
পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা এলাকাগুলি শুধু সুমেরু-কুমেরুতেই নয়। ভারতের দ্রাস পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। শীতের সময়ে তাপমাত্রা মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রির নিচে হামেশাই নেমে যায়। তাই কুমেরুতে না গিয়ে এখানে আসলেই 'রথ দেখা ও কলা বেচা' দুটোই হবে।
লাহাউল
যদি মনে হয়, সমাজ জীবন থেকে একেবারে নিজেকে নিঃসঙ্গ করে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাবেন তাহলে হিমাচলপ্রদেশে অবস্থিত লাহাউলের চেয়ে সুন্দর গন্তব্য আর হতে পারে না আপনার জন্য।