(ছবি) গরমে না পুড়ে কয়েকদিন ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাগুলিতে
কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে গরমের তীব্র দাবদাহে মানুষের প্রাণ যাওয়ার জোগাড়। এই এপ্রিলের শুরুতেই চল্লিশ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তিলোত্তমার তাপমাত্রা। [দক্ষিণ ভারতের সেরা ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন]
অন্যদিকে জেলাগুলির অবস্থাও শোচনীয়। সব জায়গাতেই একনাগাড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। তা থেকে বাঁচার আপাতত কোনও দিশা দেখাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। তবে আশার কথা এটাই যে, এবছর নাকি কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। [স্বপ্নসুন্দর অরুণাচল প্রদেশে কাটিয়ে আসুন কয়েকদিন]
কিন্তু এই গরমে রোজনামচা চালাতে কি আর ভালো লাগে? যদি কয়েকদিনের জন্য একটু হাওয়া বদল হয় তাহলে শরীর-মন দুটোই ফুরফুরে হয়ে যেতে পারে। সেই চেষ্টা করেই দেখতে পারেন। [গরমে প্রাণ খুলে ঘুরতে চাইলে উত্তরাখণ্ডই সেরা গন্তব্য!]
এর জন্য দেশের যেকোনও পাহাড়ি এলাকা একেবারে অদর্শ হতে পারে। তাই অফিসে কয়েকদিনের ছুটি ম্যানেজ করে পরিবার নিয়ে হোক অথবা একলা ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। কোথায় যেতে পারে তার আন্দাজ করে নিন নিচের স্লাইড থেকে। [ভারতের সেরা 'রোমান্টিক স্পট']
চোপতা
চোপতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই মন কাড়া যে সুইৎজারল্য়ান্ডের সঙ্গে এর তুলনা টানা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মাঝে এখানকার আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে। তবে শীতকালেও বরফের মধ্য়ে নানা খেলায় মাততে পর্যটকেরা এখানে আসেন।
সো মোরিরি লেক
লাদাখে সো মোরিরি লেকের শোভা অবর্ণনীয়। দেশের অন্যতম উচ্চতম লেক এটি।
গুরুদংমার লেক
গ্যাংটকে এই গরমে একবার এখানে পৌঁছতে পারলে আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে না।
হাতু শৃঙ্গ
হিমাচল প্রদেশের আর একটি স্বর্গীয় সৌন্দর্যের জায়গা নারকান্দা জেলায় অবস্থিত এই পর্বত শৃঙ্গটি। বরফে ঢাকা হিমালয়ের এই অংশটিতে এলেই মন ভালো হয়ে যাবে।
কাসোল
হিমাচল প্রদেশের পার্বতী নদীর উপত্যকায় অবস্থিত কাসোল। সারা বছর এখানে আবহাওয়া ভালো থাকে। চাইলে যেকোনও সময়েই ব্যাগ গুছিয়ে চলে আসলেই হল। হিমালয়ে ট্রেকিংয়ের বেস পয়েন্ট রয়েছে এখানে। ফলে সারা বছরই ট্রেকিংয়ের জন্য লোকের ভিড় লেগে থাকে এখানে।
লেপচাজগত
দার্জিলিংয়ের কাছে এই জায়গাটির নৈসর্গিক দৃশ্য এককথায় অসাধারণ। উপরে উঠলে হিমালয়, নিচে ওক-পাইনের জঙ্গল, পর্যটকদের কাছে একেবারে আদর্শ জায়গা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা
কালিম্পং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গটি খুব পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। ফলে এখান থেকে হিমালয়ের অপরূপ শোভা চেখে দেখারও সুযোগ পাওয়া যাবে।
নৈনিতাল
নৈনি লেক থেকে উত্তরাখণ্ডের এই শৈল শহরের নাম হয়েছে নৈনিতাল। এখানকার প্রাকৃতিক শোভা এককথায় অসাধারণ। উত্তরাখণ্ডের অন্যতম পরিচিত ও জনপ্রিয় পর্যটনস্থল এটি।
আলমোরা
কুমায়ুনের একটি পরিচিত শৈল শহর আলমোরা। এখান থেকে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত দেখতে অসাধারণ লাগে। এখানকার ডিয়ারপার্কে হরিণ ছাড়াও চিতা, হিমালয়ান কালো ভালুক ইত্যাদি দেখতে পাবেন। ট্রেকিং, মাউন্টেন বাইকিং ছাড়াও এখানকার বিনসার ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারি টুরিস্টদের অন্যতম আকর্ষণ।
বারামুল্লা
খ্রিস্টপূর্ব ২৩০৬ সালে এই শহরটি তৈরি হয়। মোঘল আমলে এই শহরে আসেন খোদ মোঘল সম্রাট আকবর। কাশ্মীরে এসে আর এক মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এখানেই থেকে যাবেন বলে ভেবেছিলেন, এতটাই সুন্দর এই জায়গাটি। চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙয়েন সাঙও এখানে আসেন।
চম্বা
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২৪ মিটার উচুঁতে অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের এই শৈল শহরটির নৈসর্গিক দৃশ্য এককথায় অসাধারণ। রডোডেনড্রন, দেবদারু ও পাইন গাছের সারির মধ্যে আপনি হারিয়ে যেতে চাইলে একনিমিষেই তা পারবেন। এখানকার আপেলও খুব বিখ্যাত। ফলে এখানে আসতে চাইলে উপাদান অনেক পেয়ে যাবেন। তাই আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়লেই হয়।
শিলং
শিলংকে 'পূর্ব ভারতের স্কটল্য়ান্ড' রূপে ডাকা হয়। কোনও সন্দেহ নেই, ভারতের এই অংশের অন্যতম সেরা দর্শনীয় স্থান এটি। পাহাড়, সবুজের সমারোহ ও সঙ্গে দারুণ আবহাওয়ার টানে সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে।