দেশের কয়েকটি জায়গায় 'হোম স্টে'-এর খোঁজখবর জানুন ফটোফিচারে
বেড়াতে যাওয়ার আগে টিকিট পাওয়ার পরই যে চিন্তা সবচেয়ে বেশি চেপে বসে তা হল 'থাকবার জায়গা'। তড়িঘড়ি খোঁজ পড়ে হোটেলের।
বেড়াতে যাওয়ার আগে টিকিট পাওয়ার পরই যে চিন্তা সবচেয়ে বেশি চেপে বসে তা হল 'থাকবার জায়গা'। তড়িঘড়ি খোঁজ পড়ে হোটেলের । কিন্তু সবসময়ে যে হোটেল পাওয়া যাবেই , তা কিন্তু নয়। তাই খোঁজ করা যেতে পারে 'হোম স্টে'গুলির।
বাঙালি যেখানেই বেড়াতে যাক , একটু আধটু ঘরের খাওয়ারের স্বাদ চাই বইকি! কাশ্মীরে 'ডাল লেক' দেখতে দখতে ' পটলের ডালনা' হলে মেজাজ জমজমাট থাকে 'পর্যটক' বাঙালির। তাই হোম স্টে সেদিক থেকে অনেক সুখকর। যেমন বলবেন তেমন ঘরোয়া রান্না। বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, আর তাছা়ড়াও ঘরোয়া পরিবেশ পাওয়া। সব মিলিয়ে বেড়াতে গিয়ে একটি অন্যরকমের অভিজ্ঞতার নামান্তর হোম স্টে। homeandhospitality.co.uk. এ লগ ইন করে বুক করতেই পারেন দিল্লি, জয়পুর, কিংবা কেরলের এই 'হোম স্টে' গুলি।
বিক্রম ও পারো রানাওয়াতের বাড়ি, জয়পুর
বিক্রম ও পারো রানাওয়াতের জয়পুরের বাড়িও ঘরোয়া পরিবেশের। তবে তার সঙ্গে এখানে রয়েছে বিলাসের যাবতীয় সুবিধা। পারো একজন রাজপুত বংশধর, আর তাঁর স্বামী বিক্রম প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসার। নিশ্চিতভাবে তাঁদের বাড়িতে রয়েছে, রাজস্থানের গৃহস্থলির গন্ধ। রয়েছে বাগান , সুসজ্জিত বে়ড রুম। বাড়িতে হিসাবে পেতে পারেন, পারোর রান্না শেখানোর ক্লাসে যোগ দেওয়ার সুযোগ।
দেরাদুন বেড়াতে গেলে কোথায় থাকবেন
দেরাদুনের আসল মজা পাহাড়ের শান্ত পরিবেশ। আর তা উপলব্ধি করার জন্য় আদর্শ জয়াগা দেরাদুনের মেহরা দম্পতির বাড়ি। শিবালিক হিল দেখতে পাবে বাড়ির বারান্দা থেকেই। এখানে পর্যটকরা শ্রীমতি মেহরার হাতের রান্না খেয়ে , তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও এখানে পর্যটকরা এসে থাকেন।
গোয়াতে হোম স্টে-র খোঁজ
জামশেদ ও আয়েশা মদোনের গোয়ার এই বাড়ি , এক্কেবারে গোয়ার ঐতিহ্য মেনেই তৈরি। মাপুসা ও বাগা বিচের কাছেই রয়েছে এই বাড়ি। জামশেদ একজন প্রাক্তন ব্যবসায়ী ও আয়েশা একজন প্রাক্তন সাংবাদিক। যাবতীয় আধুনিক আসবাব ও বিলাসিতা দিয়ে সাজানো এই দম্পতির বাড়ি।
স্পিতি হোম স্টে, হিমাচল প্রদেশ
স্পিতিতে থাকবার মজা হচ্ছে, এখানে কোনও একটি বা়ডিতেই শুধু থাকা যায় না, এখানের গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিমাচলের গ্রামের পরিবেশে , তাদের সংস্কৃতিকে সঙ্গে নিয়ে থাকার আনন্দই আলাদা। তবে প্রতিটি বাড়িই এখানে পরিচ্ছন্ন্। খাওয়ার আয়োজনও দেদার।
পুরনো দিল্লি গেলে কোথায় থাকবেন
ভাবছেন পুরনো দিল্লি ঘুতে যাবেন, কিন্তু থাকবার জায়গা নেই। হোটেলের ঝঞ্ঝাট কাটিয়ে থাকতেই পারেন দিল্লির সিরোহি হাউসে । এই বাড়ি ছিল এক সময়ে সিরোহির মাহারাজার বাসস্থান। পুরনো দিনের অ্যান্টিক জিনিসপত্রে সাজানো এই বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর পাওয়া যায়। সঙ্গ থাকছে, বাথরুম , কেবল টিভি, ককটেল লঞ্জ,। আরও আছে বেড়াতে গিয়ে এখানে পিকনিক করার বন্দোবস্তও করা রয়েছে। যেখানে বুফে থেকে বারবিকিউ সমস্ত করারই আয়োজন রয়েছে। ফলে বাড়ির বিলাসিতায় এখানে থাকা যায়।
কেরলের নেলপুরা , আলাপুঝা ও এস্টেট বাংলো
কেরলের ব্যাক ওয়াটারের কাছেই ১৫০ বছরের প্রাচীন হেরিটেজ হোমস্টে রয়েছে। এই বাড়ি একটি সিরিয়ান খ্রীষ্টান পরিবারের বাড়ি। এখানে চাকো দম্পতি র বাড়িতে হোম স্টের ব্যবস্থা রয়েছে। যাঁরা দুজনেই অধ্যাপক। এছা়ড়া মুন্ডা কায়ামের অঞ্জু আব্রাহামের বাড়িতেও রয়েছে থাকার ব্যবস্থা । সঙ্গে থাকছে ঘরোয়া রান্না। বাড়ির চারিদিকে মনোরম দৃশ্য। সবমিলিয়ে অত্যন্ত মনোরঞ্জক এই বাড়ির ভৌগলিক অবস্থান। (ছবি সৌজন্য উইকি কমনস)।
ওয়েনাদ, কেরল
কেরলের ওয়েনাদে হোমস্টে তে থাকার জন্য glenorahomestay.com এ যোগাযোগ করা যেতে পারে, এছাড়া যোগাযোগ বলতে রয়েছে ফোন সংযোগ- +91 4936 217550/217450. আছে আরও একটি যোগাযোগের সাইট- mahindrahomestays.com এখানের গ্লেনোরা 'হোম স্টে'তে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এই বাডি়র বাগানে কেরলের আসন ভেষজ গাছ গাছালি রয়েছে। যা এখানের বসবাসকে আরও মনোরম করে তুলেছে।
মহারাষ্ট্রের নন্দন ফার্ম
দক্ষিণ মহারাষ্ট্রের সিদ্ধুদূর্গ এলাকায় পড়গাওঁকারদের বাড়িতে থাকাটাই একচা বেড়ানোর মতো অভিজ্ঞতা। তাই বাড়ির চওড়া বারান্দা থেকে ১২ একরের কাজু বাগদান দেখা যায়। দেখা যায়, নারকোল গাছ, , আনারস গাছ। এই জায়গায় থাকার জন্য responsibletravel.com.সাইটে যোগাযোগ করা যাবে।