(ছবি) ইতিহাসের জীবন্ত দলিল পশ্চিমবঙ্গের এই স্থাপত্যগুলি
ব্রিটিশ ভারতে একসময়ের রাজধানী ছিল কলকাতা। এখান থেকেই সারা ভারত শাসন করেছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ ইংরেজরা। পরে রাজধানী দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে গেলেও ইতিহাস ও স্থাপত্যকলার বহু নিদর্শন রয়ে গিয়েছে সারা বাংলা জুড়ে। [ভারতের কয়েকটি অচেনা জায়গা একঝলকে]
ইংরেজদের আসার আগে সারা ভারতে রাজ ছিল মোঘলদের। বাংলার শেষ নবাব ছিলেন সিরাজদৌল্লা। ফলে বুঝতে অসুবিধা নেই, ইতিহাস ও স্থাপত্যকলার প্রচুর নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলার নানা প্রান্তে। [এই স্থাপত্যগুলি জীবনে একবার দেখতেই হবে]
সেই সমস্ত আমলে তৈরি হওয়া নানা স্থাপত্য, স্মৃতি সৌধগুলি এখন ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। নিচের স্লাইডে দেখে নিন, কোথায় কোন স্থাপত্যটি রয়েছে। [ভারতের সেরা প্রাসাদগুলির রাজকীয় রূপ]
রাসমঞ্চ, বিষ্ণুপুর
ইঁটের তৈরি এক অসাধারণ স্থাপত্য বিষ্ণুপুরের এই মন্দিরটি। ১৬০০ শতকে এটি তৈরি করা হয়। পিরামিডের মতো দেখতে এই মন্দিরটির দেওয়ালে টেরাকোটার কাজ করা রয়েছে। বিষ্ণুপুর থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত।
কোচবিহার রাজবাড়ি, কোচবিহার
কোচবিহার রাজবাড়ি উত্তরবঙ্গের একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে এটি গড়ে ওঠে। ইংল্যান্ডের বাকিংহ্যাম প্যালেসের আদলে তৈরি হয় এটি। কোচবিহার শহরের মধ্যেই অবস্থিত এই রাজবাড়ি।
রাধাবিনোদ মন্দির, বীরভূম
রাধাবিনোদ মন্দিরটি নবরত্ন মন্দির রূপেও খ্যাত। এই মন্দিরটির মোট ৯টি চূড়া রয়েছে। বোলপুরের কাছে কেন্দুলি গ্রামে এটি অবস্থিত। বীরভূমে এলে এই জায়গাটি দেখতে ভুলবেন না।
ক্লাইভের বাড়ি, দমদম
উত্তর ২৪ পরগনার দমদম এলাকায় লর্ড ক্লাইভের বাড়ি একটি দর্শনীয় স্থান। ব্রিটিশ অফিসার হিসাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ফুলে ফেঁপে উঠতে সাহায্য করেন।
আপাতত বাড়িটি বিপদজনক অবস্থায় থাকলেও তা এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
জোড় বাংলা, বিষ্ণুপুর
জোড় বাংলা মন্দির বিষ্ণুপুরের আর একটি পুরনো স্থাপত্য। এই ধরনের স্থাপত্য একমাত্র বাংলাতেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে কোন সময়ে এটি তৈরি হয়েছিল সে ব্যাপারে সঠিক কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
মিনার, পাণ্ডুয়া
হুগলির পাণ্ডুয়াতে এই সৌধটি অবস্থিত। ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে এটি তৈরি করেন শাহ সুফিউদ্দিন। এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি।
লুকোচুরি দরজা, মালদহ
মোঘল বাদশা শাহজাহানের সময়ে এই স্থাপত্যটি তৈরি হয়। মালদহের গৌড়ে এটি অবস্থিত। বাংলায় মোঘল স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন এটি।
হাজারদুয়ারি প্য়ালেস, মুর্শিদাবাদ
১৯ শতকে এই প্রাসাদটি গড়ে ওঠে। বাকিংহ্য়াম প্রাসাদের আমলে এটিও তৈরি হয়েছে। এটিতে এক হাজারটি দরজা বা দুয়ার রয়েছে বলে এমন নামকরণ করা হয়েছে।
বড়দুয়ারি, গৌড়
বড় সোনা মসজিদ নামে খ্য়াত এই জায়গাটি গৌড়ে অবস্থিত। এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি।
ইছাই ঘোষের মন্দির
বর্ধমানে ইছাই ঘোষের মন্দির অত্যন্ত বিখ্যাত। মন্দির বলে প্রচারিত হলেও এর ভিতরে কোনও বিগ্রহ নেই। সপ্তম শতকে ইছাই ঘোষ নামে এক ব্যক্তি এটি তৈরি করেন বলে জানা যায়। এর বাইরে এ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়না।