ব্যাঙ্গালোরের ব্যস্ত জীবন থেকে নিরালা নিসর্গ হোন্নাবর
কেন যাবেন: উত্তর-পশ্চিম কর্নাটকে আরব সাগরের কোল ঘেঁষে হোন্নাবরের অবস্থান। হোন্নাবরের নিসর্গ অপরূপ। এখান থেকে আট কিলোমিটার দূরে রয়েছে অপ্সরাকুণ্ড। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার গা দিয়ে নেমে এসেছে একটি জলধারা। পাহাড়ের ওপর রয়েছে পাণ্ডবগুহা। ওপর থেকে চারদিকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখানে শরাবতী নদী এসে মিশেছে আরব সাগরে। নদীর বুকে জেগে ওঠা দ্বীপ, সুবজ শস্যক্ষেত, নারকেল গাছের বন, সব মিলিয়ে নয়নলোভন গন্তব্য হল এই হোন্নাবর। ১৫ কিলোমিটার দূরে দেখে আসতে পারে ইরাগুঞ্জি মন্দির। এটি আটশো বছরের পুরনো।
আরও পড়ুন: বকখালির ভিড় এড়িয়ে সপ্তাহান্তে হেনরি আইল্যান্ড
এ ছাড়া রয়েছে, বাসবরাজা দুর্গা দ্বীপ। এখানে যেতে হলে নৌকো চাপতে হবে। দ্বীপে রয়েছে পুরনো দুর্গের ধ্বংসাবশেষ।
হোন্নাবর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে করিকনাম্মা মন্দির। পাহাড়ের মাথায় মন্দিরটি। এখান থেকে আরব সাগরের বুকে সূর্যাস্ত দেখতে দারুণ লাগে।
যদি একটু বেশি সময় থাকে, তা হলে হোন্নাবর থেকে সোজা চলে যেতে পারেন যোগ জলপ্রপাত।
কীভাবে যাবেন: ব্যাঙ্গালোর থেকে সড়কপথে হোন্নাবর ৪৬৩ কিলোমিটার। যদি ব্যাঙ্গালোর থেকে বেরিয়ে ভদ্রাবতী-শিবমোগ্গ-সাগর হয়ে যান, তা হলে আট ঘণ্টা সময় লাগবে। আর একটি রাস্তা যাচ্ছে চিত্রদুর্গ হয়ে। এই পথে হোন্নাবরের দূরত্ব পড়বে ৪৯২ কিলোমিটার। চিত্রদুর্গ পেরিয়ে হরিহর হয়ে বামদিকে ঘুরলে শিবমোগ্গ। সেখান থেকে সাগর হয়ে পৌঁছবেন হোন্নাবর।
ব্যাঙ্গালোর থেকে বাসেও যাওয়া যায় হোন্নবর। ন'ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগে।
ব্যাঙ্গালোর সিটি স্টেশন থেকে হোন্নাবর যাচ্ছে ১৬৫২৩ ব্যাঙ্গালোর-কারওয়ার এক্সপ্রেস। তবে ট্রেনে সাড়ে ষোলো ঘণ্টা সময় লাগবে।
কেউ যদি হাওড়া থেকে আসতে চান, তা হলে মাড়গাঁও হয়ে আসা সুবিধাজনক। হাওড়া থেকে মাড়গাঁও আসছে ১৮০৪৭ অমরাবতী এক্সপ্রেস। মাড়গাঁও থেকে হোন্নাবর আসছে ৫৬৬৪১ ম্যাঙ্গালোর প্যাসেঞ্জার, ১২৬১৯ মৎস্যগন্ধা এক্সপ্রেস, ১৬৩৩৭ ওখা-এর্নাকুলম জংশন এক্সপ্রেস ইত্যাদি ট্রেন।
কোথায় থাকবেন: অপরূপ হোন্নাবরে থাকার ভালো জায়গা হল কামাথ রেসিডেন্সি। যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে: ০৮৩৮৭-২২২০৩০/08387-222030