পার্টি অফিসেই গুলিবিদ্ধ জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ, গ্রেফতার ৪ তৃণমূল কর্মী
পার্টি অফিসেই গুলিবিদ্ধ হলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। মাঙ্কি ক্যাপ পরা তিন দুষ্কতী অতর্কিতে হানা দিয়ে গুলি করে পর্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূলের ওই কর্মাধ্যক্ষকে।
হুগলি, ২৭ ডিসেম্বর : তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকে জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আফসার হোসেনকে গুলি করার ঘটনায় চার তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ফলে এই খুনের চেষ্টার পিছনে জোরালো হল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই। পুলিশ জানিয়েছে, আফসার হোসেনকে গুলিকাণ্ডে মেসের মল্লিক, রাজীব মল্লিক, জাহির ও ওইদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আজই আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে পুলিশ।
ধৃত চারজনই এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, তারাই বাইকে করে এসে আথর্কিতে গুলি চালায়। তৃণমূলের অন্তর্কলহের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিস খতিয়ে দেখছে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না।
উল্লেখ্য, মাঙ্কি ক্যাপ পরা তিন দুষ্কতী অতর্কিতে হানা দিয়ে গুলি করে পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূলের ওই কর্মাধ্যক্ষকে। সোমবার রাতে হুগলির ভগবতীপুরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজ সকাল থেকেই এলাকা অঘোষিত বনধের চেহারা নিয়েছে।
রাত তখন ন'টা। পার্টি অফিসে বসে ছিলেন আফসার। হঠাৎই বাইকে করে জনা কয়েক দুষ্কৃতী হানা দেয় পার্টি অফিসের সামনে। সবার মাথায় মাঙ্কি ক্যাপ। বাইক থেকে নেমেই আচমকাই আফসারকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। একটি গুলি লাগে আফসারের বুকে। পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন আফসার। পার্টি কর্মীরা আফসারকে নিয়ে ছোটেন চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। রাতেই তাঁকে এসএসকেএমে রেফার করা হয়।
আফসারের অভিযোগের তির তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠীর দিকে। আফসার নিজে অভিযোগ করেছেন, মোশারফ, জাহাঙ্গির ও আনিসুল-রাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে তৃণমূলের অন্দরে। স্বাতী খন্দকার গোষ্ঠীর সঙ্গে আফসার হোসেন গোষ্ঠীর এই লড়াই চলছিল। চণ্ডীতলা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ মোশারফ জানান, অহেতুক পার্টির নেতাদের জড়াচ্ছেন আফসার। তৃণমূলের কোনও নেতা এই ঘটনায় জড়িত নন।