ভিনরাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের দিয়েই ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জালনোট!
জালনোট পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিনরাজ্যে কাজ করা ১৮ বছরেরও কম বয়সি শ্রমিকদের। বাংলাদেশ থেকে জালনোট সংগ্রহ করে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দিত।
মালদহ, ৭ মার্চ : জালনোট পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিনরাজ্যে কাজ করা ১৮ বছরেরও কম বয়সি শ্রমিকদের। বাংলাদেশ থেকে জালনোট সংগ্রহ করে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দিত। কর্মসূত্রে তারা ভিনরাজ্যে থাকার সুযোগ নিয়ে এই চক্র চালাত গোটা দেশে। আর এই চক্রের করিডোর ছিল পশ্চিমবঙ্গের মালদহ। সোমবার রাতে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মালদহের বৈষ্ণবনগরে এক লাখ টাকার জাল নোট-সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হল আবদুল রশিদ, সাহিদ শেখ ও কাশিম শেখ। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৭ থেকে ১৮-র মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা সবাই মোহনপুরের বাসিন্দা। তারা ভিনরাজ্যে কাজ করে। সেই কাজের সুযোগ নিয়েই জাল নোট ছড়িয়ে দেয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
মঙ্গলবার তিনজনকে মালদহ আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে জেরায় তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে জালনোট সংগ্রহ করে তারা ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। সেইমতোই এবার তারা সেই চেষ্টায় ছিল।
বাংলাদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে সীমান্তে আসে ওই পাচারকারীরা। গোপন সূত্র খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে পুলিশ। মোহনপুর গ্রাম হানা দিয়ে তিনজনকে জালে পুরতে সমর্থ হয়। আগের দিন রাতেও পুলিশ ফাঁদ পেতে দু'জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছে থেকে চার লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। বেশিরভাগ টাকাই নতুন দুহাজারের।
পুলিশের পাশাপাশি মালদহে এখন ওঁত পেতে রয়েছেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। তাই প্রতিদিনই নিয়ম করে জালনোট ধরা পড়ছে। পর পর তিনদিন জালনোট উদ্ধার হল মালদহের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে। তবে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের সমান্ত ছেড়ে জালনোট চক্র এখন ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়া-কলকাতাতেও।