কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় জানেন কি? জেনে নিন
এদিন বিকেলেই গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় 'রোয়ানু' আছড়ে পড়তে চলেছে। এই ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা কমে এলেও এখনও বেশ শক্তি রয়েছে এতে। এর প্রভাবে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শক্তি হারালেও বিকেলেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'রোয়ানু'
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে 'রোয়ানু'। কিন্তু কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় তা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। প্রতিবছর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বা ঝড়কে আলাদা নাম দেওয়া শুরু হয়েছে কিছু বছর আগে থেকে।
এর আগে যেমন আমরা নীলম, হুদহুদ, ফাইলিন, নীলোফার নামে অনেকগুলি ঝড়ের নাম শুনেছি ও প্রত্যক্ষ করেছি। আসলে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলির নাম দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিষয়ক দফতর 'ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্য়াল ডিপার্টমেন্ট' থেকে এই নামগুলি দেওয়া হয়। যাতে সহজেই তা মানুষের মনে থেকে যায়। আগে নানারকম কোড অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হতো। যেমন ধরুন 'BOB 05' অথবা 'ARB 01'। সেই বিষয়টিকেই সরলীকরণ করে সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে ও সংবাদমাধ্যমের প্রচারের সুবিধার স্বার্থে এমন নামকরণের রীতি প্রচলিত হয়েছে।
ভারতীয় 'ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্য়াল ডিপার্টমেন্ট' বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাকে আবহাওয়া বিষয়ক সাহায্য প্রদান করে থাকে। এই সবকটি দেশ মিলিয়েই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলির নাম ঠিক করে থাকে।
এইভাবে মোট ৬৪টি নাম ঠিক করা রয়েছে। যখন যে দেশের সময় আসে, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সেই দেশ তার নাম দিয়ে থাকে।