বিজেপি-র প্রতিবাদপত্র নিলেও বাম-কংগ্রেসের প্রতিবাদপত্র কেন নিল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন?
৭ পুরসভার নির্বাচন নিয়ে উত্তাপের শেষ ঢেউটা যেন আছড়ে পড়ল কলকাতায়। রবিবার দুপুর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনের চত্বর।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি এখন রাজ্যে দুটি দলকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে। রবিবার এই প্রশ্ন তুললেন বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যে ৭ পুর নির্বাচনে হওয়া সন্ত্রাস নিয়ে নালিশ করতে রবিবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছয় কংগ্রেস ও বামেদের প্রতিনিধিরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে আগেভাগেই ব্যারিকেড বানিয়ে তৈরি ছিল পুলিশ। কংগ্রেস ও বাম প্রতিনিধি দলে ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীরা। কমিশনের দফতরে যৌথ প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেয় তারা। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ওমপ্রকাশ মিশ্র এবং সুজন চক্রবর্তীদের বচসা বেঁধে যায়। বচসা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনে কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস ও বাম কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে ঢোকার চেষ্টা চলে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা বাম ও কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন না। কারণ, এই সাক্ষাৎ-এর কোনও ভিত্তি নেই। এমনকী, তিন পুরসভার ভোটগ্রহণ বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের সওয়াল করে এক প্রতিবাদপত্র তৈরি করেছিল বাম ও কংগ্রেস, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেটা নিতেও অস্বীকার করে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি-ও। তাঁদের সঙ্গেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার সাক্ষাৎ না করলেও প্রতিবাদপত্র গ্রহণ করেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত বাম ও কংগ্রেস নেতারা। সুজন চক্রবর্তী স্পষ্টতই অভিযোগ করেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখন তৃণমূলকে শাসক দল এবং বিজেপি-কে বিরোধী দল বলে মনে করছে। তাহলে কি বাকি রাজনৈতিক দলগুলির কোনও অস্তিত্ব নেই?' যদিও, এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।