কে চালাল গুলি? উর্দিই বা কার? ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে, শুরু রাজনৈতিক তরজা
কে চালাল গুলি? শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে না কিছুতেই।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৯ জানুয়ারি : কে চালাল গুলি? শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে না কিছুতেই। এক পক্ষ দাবি করছে পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছে বহিরাগতরা। অন্য পক্ষ বলছে, ওই পোশাকগুলি পুলিশেরই। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীর রোষ থেকে বাঁচতে উর্দি খুলে পালিয়েছে তাঁরা।[ভাঙড়ে যে গুজবের কারণে পাওয়ার গ্রিডের জমি নিয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা]
আবার ভাঙড়েরই এক প্রান্ত উঠে এসেছে অন্য চিত্র।। গ্রামবাসীরাই পুলিশকে বাঁচাতে নিজেদের পোশাক দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছে। গুলি ও পুলিশের উর্দি নিয়ে এমন নানা তথ্যে বিভ্রান্ত ভাঙড়বাসীও। আর এই অবসরে জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়- গুলি চালাল কে?[চিটফান্ডের সভা থেকে ভাঙড়ের আন্দোলন সারা রাজ্যে ছড়ানোর ডাক দিল সিপিএম]
বুধবারই একে একে ভাঙড়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে সিপিএমের প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলের ছিলেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী-সহ জেলা সিপিএমের নেতৃবর্গ। আর শাসকপক্ষে ভাঙড়ে গিয়েছেন মুকুল রায়।[গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ তৃণমূলের নীতি নয়, মাওবাদী-ভোটবাদীরা ইন্ধন দিচ্ছে ভাঙড়ে : পার্থ]
মহম্মদ সেলিম দাবি করেছেন, গুলি চালিয়েছে পুলিশই। পরোক্ষে মুকুল রায়ের ব্যাখ্যা গুলি চালিয়েছেন বহিরাগতরাই। সিপিএমের পাল্টা, বহিরাগতরাই যদি গুলি চালায়, তাহলে পুলিশের পোশাক পরে কোন তৃণমূল গুণ্ডা গুলি চালাল তা অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে।[ভাঙড়ের পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী, ভবানি ভবনে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক]
ভাঙড়ে আকাশে-বাতাসে ভাসছে স্বজনহারার কান্না। প্রশাসন চলে গিয়েছে ব্যাকফুটে। তাদের প্রবেশাধিকার নেই। তাই তদন্ত এগোয়নি। এরই মধ্যে গ্রামবাসীরা পুলিশ ও র্যাফের পোশাক উদ্ধার করেছে। তা নিয়েই গ্রামবাসীরা বুধবার দাবি করেছিল, পুলিশের পোশাকে বহিরাগতরা গুলি চালিয়েছে। অভিযোগের তির আরাবুল গোষ্ঠীর দিকে।[বহিরাগতদের গ্রেফতার করতে সিআইডিকে নির্দেশ মমতার, যেন আঁচড় না লাগে ভাঙড়বাসীর]