ভালোবাসার দিনেই ছাড়াছাড়ি, হাসছে কালিম্পং মুখ লুকিয়ে কাঁদছে দার্জিলিং
মন ভালো নেই দার্জিলিংয়ের। ভালোবাসার দিনেই ছাড়াছাড়ি। আজই বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে কালিম্পংয়ের সঙ্গে। দার্জিলিংয়ের ‘কূল’ ছেড়ে কালিম্পং পাড়ি দিচ্ছে ‘অকূলে’ পাড়ি দিচ্ছে কালিম্পং।
কালিম্পং, ১৪ ফেব্রুয়ারি : মন ভালো নেই দার্জিলিংয়ের। ভালোবাসার দিনেই ছাড়াছাড়ি। আজই বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে কালিম্পংয়ের সঙ্গে। দার্জিলিংয়ের 'কূল' ছেড়ে কালিম্পং পাড়ি দিচ্ছে 'অকূলে' পাড়ি দিচ্ছে কালিম্পং। পৃথক জেলার মর্যাদা পাচ্ছে কালিম্পং। এতদিনের সম্পর্ক শেষ হল এই ভালোবাসার দিনেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে আজ তাই দুই চিত্র পাহাড়ে। একদিকে হাসছে কালিম্পং, অন্যদিকে পাহাড়ে মুখ লুকিয়ে কাঁদছে দার্জিলিং।[২১ তম জেলা হিসেবে পাহাড়ে কালিম্পংকে আজ মর্যাদা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, কাল প্রশাসনিক বৈঠক]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্যের ক্ষমতায় এসে পাহাড়কে হাসিয়েছিলেন। আবার আজ তাঁর হাত ধরেই স্বাধীন মর্যাদা পেয়ে পাহাড়ে চলছে কান্না-হাসির খেলা। আজ 'স্বাধীন' হচ্ছে কালিম্পং। গোটা এলাকা সেজে উঠেছে রং-বেরংয়ে। আলো ঝলমলে কালিম্পং উৎসবে মেতে উঠেছে। উল্টোদিকে নিতান্তই ম্যাড়ম্যাড়ে লাগছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দার্জিলিং। বিচ্ছেদ মানতে পারছে না পাহাড়![জেলা হচ্ছে কালিম্পং, শিলিগুড়িতেও নতুন জেলার দাবি, পৃথক বোর্ড চায় আদিবাসী বিকাশ]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে থাকাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস ননা অনুষ্ঠান চালিয়ে যাবে। সেই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একদিকে হাসবে কালিম্পং। বেদনা ভুলে আবার হাসির খোরাক জোগাড় করবে দার্জিলিংও। তবে এদিনের এই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের বিচ্ছেদকে সমর্থন জানিয়েছে মোর্চাও। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মোর্চা সদস্যরাও তাই স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান করছেন।
এবার থেকে দার্জিলিংয়ের পর কালিম্পং হতে চলেছে পাহাড় রাজনীতির দ্বিতীয় কেন্দ্র। এই উত্তরণ রাজনীতির খেয়ায় নতুন করে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ দেবে ঠিকই, কিন্তু দার্জিলিংয়ের গৌরবেও মৃদু হলেও আঘাত লাগবে। এতদিন দার্জিলিংই সমস্ত প্রচার পেয়েছে, কালিম্পং বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে দুয়োরানি হয়েছিল। এবার কিন্তু পরিবর্তন আসছে পাহাড়েও।
রাজ্যের ২১তম জেলা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে কালিম্পংয়ের পথ চলা শুরুর মাধ্যমেই নতুন পর্বের সূচনা পাহাড়ে।