দার্জিলিংয়ে হিংসার পিছনে কোন শক্তির মদত রয়েছে, খোলসা করলেন পুলিশ কর্তারা
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্তারা পরিস্থিতি যাচাইয়ের পর জানিয়েছেন, পাহাড়ে হিংসার পিছনে রয়েছে প্রতিবেশী দেশের মাওবাদীদের হাত।
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা বেশ কিছুদিন ধরে নয়া রাজ্যের দাবিতে অশান্ত হয়ে রয়েছে। দার্জিলিংয়ে এক হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিংসা-পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টায় নিরীহ পাহাড়বাসীদের কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। আর সেটাকে সম্বল করে রাজনীতি চলছে সমানে, উত্তেজনা থামার লক্ষণ নেই।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্তারা পরিস্থিতি যাচাইয়ের পর জানিয়েছেন, পাহাড়ে হিংসার পিছনে রয়েছে প্রতিবেশী দেশের মাওবাদীদের হাত। পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে উসকে দিতে সীমান্ত পেরিয়ে মাওবাদীরা দলে দলে দার্জিলিংয়ে ঢুকে পড়েছে ও ভিড়ে মিশে আন্দোলন জোরদার করে তুলছে।
কলকাতা হাইকোর্ট দার্জিলিং ইস্যুতে ইতিমধ্যে পাহাড়ে আরও চার কোম্পানি সেনা নামাতে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেখানে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনূজ শর্মা দার্জিলিংয়ে অশান্তির পিছনে আসল কারণ তুলে ধরেছেন।
আগামিদিনে মাওবাদীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে অশান্তিকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে রিপোর্ট দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকেরা।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাইরের দেশ থেকে মাওবাদীরা দার্জিলিংয়ে এসে বিক্ষোভে ইন্ধন জোগাচ্ছে। সেরকম রিপোর্ট গোয়েন্দারাও হাইকোর্টে জমা করেছেন বলে খবর।
এই নিয়ে একমাসের মধ্যে মোট দু'বার আলাদা করে পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনা নামানো হল। পরিস্থিতি শান্ত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে সেকথায় কর্ণপাত না করে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড় অশান্ত করে রেখেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দাবি না মানলে আরও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমল গুরুংরা।