পুরভোট ঘিরে উত্তেজনা : অশান্ত ডোমকল, রায়গঞ্জ, পূজালিতে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের
রাজ্যের ৭ পুরসভার ভোটগ্রহণ পর্বে পাহাড় বাদে বাকি এলাকায় সকাল থেকেই উঠে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর।
রাজ্যের ৭ পুরসভার ভোটগ্রহণ পর্বে পাহাড় বাদে বাকি এলাকায় সকাল থেকেই উঠে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। ডোমকল, রায়গঞ্জের পুরভোট গ্রহণ পর্ব জেরবার দুষ্কৃতী দৌরাত্মে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বেলা ১১ পর্যন্ত ভোটের হার: মিরিক-৩৩.৩ শতাংশ,কালিম্পং-২৯.৩ শতাংশ ,রায়গঞ্জ -৩৩.৩ শতাংশ,ডোমকল- ৪০.৩ শতাংশ,পুজালি- ৪৫.৬ শতাংশ,দার্জিলিং-২৫.৩, ও কার্সিয়াং -২৯.৫ শতাংশ। এদিকে, ডোমকলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পৌঁছলে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যম। এক টিভি চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ। সংবাদগ্রাহককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
পূজালীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের সামনে বোমাবাজির খবরের পাশপাশি, রায়গঞ্জের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির খবর উঠে আসছে। রায়গঞ্জে তৃণমূল ও জোট সমর্থকদের মধ্যে ক্রমাগত চলছে হাতাহাতি, মারপিট। এছাড়াও রায়গঞ্জের একটি বুথে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে বহিরাগতরা তান্ডব চালায় বলে খবর। কার্যত ঘটনায় অসহায় পুলিশ।
রবিবার সকাল থেকেই রায়গঞ্জের ১৫ নম্বর, ১৩২ নম্বর, বুথে জোটপ্রার্থীকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এদিকে,রায়গঞ্জের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বুথে ইভিএম, পুলিশের সামনেই ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। পূজালিতে ৯ নং ওয়ার্ডে একটি বুথে বোমাবাজি ও ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য,পূজালিতে দুষ্কৃতি তান্ডবে শৌচাগারে ঢুকে যান ভোটকর্মীরা। সেখানে বুথে ভোটগ্রহণ বাচনাল করার পাশপাশি, বুথ ফাঁকা করাই উদ্দেশ্য বলে বাইক থেকে দুষ্কৃতীরা চেঁচাতে থাকে বলে অভিযোগ উঠছে।
এছাড়াও,রায়গঞ্জে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বুথের সামনে এলোপাথারি গুলি, বাইক থেকে গুলি ছু়ঁড়তে ছুঁড়তে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। ডোমকলে মামুদপুর ও দক্ষিণনগর এলাকায় দুষ্কৃতিরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। এছাড়াও ডোমকলে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ।
এদিকে, ৭ টি পুরসভার মধ্যে পাহাড়ের কার্সিয়াং, দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিকে শান্তিপূর্ভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। এই পুরভোটে পহাড়ে জিএনএলএফের সঙ্গে সমঝোতা করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি মোর্চার সঙ্গে রয়েছে বিজেপি। এই দুই কেন্দ্রের রাজনৈতিক অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেদিকে নজর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।