ইনস্যুরেন্স জালিয়াতিতে একেবারে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ
ইনস্যুরেন্স বা বীমা জালিয়াতিতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান একেবারে উপরের দিকে রয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গাকে 'জালিয়াতি-প্রবণ' এলাকা বলে নথিবদ্ধ করেছে বীমা কোম্পানিগুলি।
কলকাতা, ২ মার্চ : ইনস্যুরেন্স বা বীমা জালিয়াতিতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান একেবারে উপরের দিকে রয়েছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই গুজরাতও। বীমা কোম্পানিগুলি গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশার কিছু নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করেছেন।
নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার তালিকায় সারা দেশে কলকাতার স্থান কত? জেনে নিন
সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত 'পাবলিক টয়লেট' : সারা দেশে 'ফার্স্ট বয়' কলকাতা
এই জায়গাগুলিকে 'জালিয়াতি-প্রবণ' এলাকা বলে নথিবদ্ধ করেছে বীমা কোম্পানিগুলি। তাদের রেকর্ড বলছে, এই জায়গাগুলিতেই ইনস্যুরেন্সের কভার ও জাল দাবিদাওয়া সবচেয়ে বেশি এসেছে। এবং এর ফলে বীমা কোম্পানিগুলির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
গতবছরে 'প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা' সামনে আসে। এই যোজনা মোতাবেক বছরে ৩৩০ টাকা দিলেই ২ লক্ষ টাকার পুনর্নবীকরণযোগ্য 'লাইফ কভার' পাওয়া যাবে। এই বীমা করার কিছুদিনের মধ্যেই তার টাকা দাবি করে অনেকগুলি আবেদন জমা পড়ে।
যৌন দাসত্বের কারবারে ভারতের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ
মুম্বই, দিল্লির পরে ভারতে সবচেয়ে বেশি মিলিয়নেয়ার রয়েছে কলকাতাতেই!
অনুসন্ধান করে দেখা যায়, বীমা করার ৩০ দিনের মধ্যে ৩০ শতাংশ 'ক্লেইম' (দাবি) জমা পড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাবি করা হয়, ইনস্যুরেন্স করার একমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মারা গিয়েছে। যদিও তদন্তে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জাল তথ্য পেশ করে বীমার টাকা হাতানোর ছক কষা হয়েছে।
বীমা কোম্পানিগুলি দাবি করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জাল ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে বীমার টাকা দাবি করা হয়েছে। আর সেসব দেখেই নিজেরা অন্তর্তদন্ত করে বীমা কোম্পানিগুলি গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য কয়েকটি রাজ্যের কিছু এলাকাকে 'রেড জোন' বলে ঘোষণা করেছে। এই এলাকার বাসিন্দাদের ইনস্যুরেন্সের টাকা দাবি করতে এবার আরও বেশি কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।