চুয়া ও চন্দনের ফোঁটায় আজ ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনায় ব্রতী বোনেরা
আজ শুভ ভাইফোঁটা৷ এই বিশেষ দিনেই কপালে চুয়া ও চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দাদা বা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে দিদি বা বোন৷ ভাই এবং বোনের কাছে ভাইফোঁটা তাই এক বিশেষ দিন৷
কলকাতা, ১ নভেম্বর : আজ শুভ ভাইফোঁটা৷ এই বিশেষ দিনেই কপালে চুয়া ও চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দাদা বা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে দিদি বা বোন৷ ভাই এবং বোনের কাছে ভাইফোঁটা তাই এক বিশেষ দিন৷ বোনের হাতে ফোঁটা মানেই যমের দুয়ারে কাঁটা। 'যমুনা'রা সেই বিশ্বাস নিয়েই ভাইদের ফোঁটা দেয়। বেদের যুগ থেকেই তা আজও অমলিন।
ঋক বেদে বর্ণিত আছে, যমুনা একবার তাঁর যমজ ভাই যমকে দেখতে চায়৷ ভ্রাতৃদ্বিতীয়ারই দিনে যম তাঁর বোনের কাছে দেখা করতে আসে৷ যমুনা প্রচুর উপাচার ও মিষ্টি সাজিয়ে দাদাকে আপ্যায়ন করে। এই বিপুল আয়োজন দেখে আপ্লুত যম বোনকে আশীর্বাদ করে, আজকের দিনে যে বোনরা তার ভাইকে ফোঁটা দেবে, তারা দীর্ঘায়ু হবে৷ সেই থেকেই ভাইফোঁটা বাঙালি সমাজে প্রচলিত।
শুধু তো আচার-অনুষ্ঠান নয়, ভাইফোঁটার উৎসব মানেই পেটপুরে খাওয়া-দাওয়াও। ভাইফোঁটার উত্সবের বাজার তাই আজ একটু চড়াই। মিষ্টি থেকে ফল, কাঁচাবাজার থেকে মাছের দাম- অন্যদিনের তুলনায় আজ বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। রকমারি মিষ্টিতে সাজানো ভাইদের প্লেট। তারপর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। মিষ্টির পরে মাছের দোকানেও আঁচ। বিভিন্ন বাজারে মাছের দামেও হাত পুড়ছে ভোজনরসিক বাঙালির।
আকাশময় প্রদীপের আলো মেখেই আসে ভাই-বোনের সুমধুর সম্পর্কের আনন্দমুখর এই দিন৷ দীপাবলির উৎসবের রেশ শেষ হতে না হতেই আরও এক পার্বণ ভাইফোঁটা হাজির৷ মঙ্গলবার ভাইকে আগলে রাখার শপথ নেওয়া। আর কবজি ডুবিয়ে বাঙালির খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। উৎসাহে কোনও ভাটা নেই৷ কলকাতা, শহরতলি, গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই জমজমাট আরও একটা উৎসবমুখর দিন আজ।