আমেরিকান সিনেমা ‘ডেভিলস নট’-এর অনুকরণে আকাঙ্ক্ষা খুনের ছক উদয়নের!
সিনেমার চিত্রনাট্য ফলো করেই প্রেমিকা আকাঙ্ক্ষা শর্মাকে খুনের ছক কষেছিল সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাস। আমেরিকান সিনেমা ‘ডেভিলস নট’-এর কাহিনি অবলম্বন করেই আকাঙ্ক্ষা খুনের ‘চিত্রনাট্য’।
বাঁকুড়া, ৮ ফেব্রুয়ারি : সিনেমার চিত্রনাট্য ফলো করেই প্রেমিকা আকাঙ্ক্ষা শর্মাকে খুনের ছক কষেছিল সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাস। আমেরিকান সিনেমা 'ডেভিলস নট'-এর কাহিনি অবলম্বন করেই আকাঙ্ক্ষা খুনের 'চিত্রনাট্য' সাজায় সে। তারপর সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নেই প্রেমিকাকে খুন করে দেহ লোপাট করে দেয় উদয়ন। বাঙালি এই সাইকো কিলারকে ম্যারাথন জেরায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।[হিন্দি সিনেমা 'দৃশ্যম' দেখে একই কায়দায় এক ব্যক্তিকে খুন বাবা-ছেলের]
মঙ্গলবারই সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে আট দিনের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। তারপর থেকেই পুলিশ তাকে ম্যারাথন জেরা চালাচ্ছে। স্বয়ং পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চার ঘণ্টা টানা জেরা করেন। সেই জেরায় অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে উত্থাপন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে পুলিশকে। এরই মধ্যে পুলিশের সামনে উটে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।[অক্ষয় কুমারের ছবিতে অনুপ্রাণিত হয়ে খুন করে গ্রেফতার কিশোর]
পুলিশের কাছে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের কাছে উদয়ন জানিয়েছে, তার পছন্দের সিনেমা ছিল ডেভলস নট। সেই সিনেমা সে বহুবার দেখেছে। তার বাড়ি থেকে এই সিনেমার সিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে আমেরিকান সিনেমা এই ডেভিলস নট। এই সিনেমায় ছিল টান টান উত্তেজনাময় থ্রিলার।[ওম পুরীকে খুন করেছে মোদী, অজিত ডোভাল, বলছে পাকিস্তান!]
এই সিনেমায় তিনজন টিনএজার খুন করে দেহ লোপাট করেছিল তিনজনের। এই সিনেমার চিত্রনাট্য মেনে সেও হত্যার ছক কষেছিল। হত্যার পর নিজেকে আড়াল করতে সমস্ত রকম প্রয়াস সে নিয়েছিল এই সিনেমার চিত্রনাট্য অনুযায়ী। খুনের সমস্ত মোডাস অপারেন্ডি সে তৈরি করেছিল বারবার এই সিনেমা দেখে। কোথাও যেন কোনও ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করেই উদয়ন এগিয়েছিল অপারেশনে।[বলিউড গান চালাতে বাধা দেওয়ায় বিয়ের আসরেই মাতাল অতিথিদের হাতে খুন পাত্রের বাবা]
নিজের বাবা-মা ও প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করে পুতে দেওয়ার পর নিজের পুলিশের জালে ধরা পড়েও উদয়নের মধ্যে কোনও অনুতাপ নেই। তাকে দেখে ভাবলেশহীন মনে হয়েছে। নির্বিকার থেকেছে পুলিশি জেরার মুখেও। এমনকী এদিন বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ লকআপে থাকাকালীন উদয়ন এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসা করে, তার কী শাস্তি হতে পারে। যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তা কতদিনে কার্যকর হতে পারে ইত্যাদি, ইত্যাদি। তা থেকে স্পষ্ট মানসিকভাবে শক্তই রয়েছে সে।