চোরাশিকারিদের থাবা গরুমারা জাতীয় উদ্যানে, মাটি খুঁড়ে উদ্ধার দু’টি গণ্ডার, খড়্গ উধাও
চোরাশিকারিদের থাবা গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। মাটি খুঁড়ে দু’টি গণ্ডারের কঙ্কাল উদ্ধার করা হল। একটি গণ্ডারেরও আবার খড়্গ নেই। বন দফতরের ঢক্কা নিনাদই সার।
জলপাইগুড়ি, ২২ এপ্রিল : চোরাশিকারিদের থাবা গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। মাটি খুঁড়ে দু'টি গণ্ডারের কঙ্কাল উদ্ধার করা হল। একটি গণ্ডারেরও আবার খড়্গ নেই। বন দফতরের ঢক্কা নিনাদই সার। এই গণ্ডারের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনাতেই স্পষ্ট বনদফতর ব্যর্থ বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা দিতে।
কয়েকদিন আগেই উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে গ্রেফতার হয় কয়েকজন চোরাশিকারি। তাদের জেরা করেই জানা যায় জলপাইগুড়ির গরুমারা জঙ্গলে দু'টি গণ্ডআর হত্যা করা হয়েছে। সাইলেন্সার লাগানো রাইফেল দিয়ে গণ্ডার হত্যা করে সমাধি দিয়ে দেওয়া হয়। এ রাজ্যের বন দফতরকে সেই খবর দেয় আসাম। সেইমতো তদন্ত শুরু হয়।
প্রধান মুখ্য বনপাল প্রদীপ ব্যাস জলপাইগুড়িতে পৌঁছে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। সেইমতো মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় দু'টি গণ্ডারের কঙ্কাল। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। প্রশ্ন উঠেছে, দু'টি গণ্ডারকে হত্যা করে তাদের খড়্গ কেটে নিয়ে চলে যাওয়া হল, অথচ বন দফতর কিছুই জানতে পারল না, এটা সম্ভব হল কী করে? প্রদীপবাবু বলেন, আসাম থেকে খবর না দিলে জানাই যেত না এত বড় ঘটনার কথা।
তাই দফতরের কাজে যে গাফলতি আছে, তা তো অসস্বীকার্য। অসমের বন বিভাগ এ রাজ্যকে গণ্ডার নিধন চক্রের ব্লু-প্রিন্ট পাঠানোর পরই খুঁজে পাওয়া যায় দুই গণ্ডারের দেহ। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় বুলেটের খোলও। সম্প্রতি এই জাতীয় উদ্যানে হাতি সুমারি হয়েছে। তা সত্ত্বেও এতবড় ঘটনা ঘটে গেল কেউ কিছু জানতেই পারলেন না। অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিই গাফলতি খতিয়ে দেখে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।