অসম লড়াইয়ে বাঘকে হারিয়ে বন্ধুকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন মৎস্যজীবীরা
বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুর মুখ থেকে সঙ্গীর জীবন বাঁচালেন দুই মৎস্যজীবী। একেবারে মরণপণ সংগ্রাম করে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হয়। আর সেই কাজে সফল হন মৎস্যজীবীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি : বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুর মুখ থেকে সঙ্গীর জীবন বাঁচালেন দুই মৎস্যজীবী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কুলতলিতে এই ঘটনা ঘটে। একেবারে মরণপণ সংগ্রাম করে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হয়। আর সেই কাজে সফল হন মৎস্যজীবীরা। সম্মিলিত প্রতিরোধে রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হয় সুন্দরবনের বাঘ।
ধুন্ধুমার লড়াই বাঘ আর তিন মানুষের সুন্দরবনের কুলতলিতে নদীতে নেমে তিন মৎস্যজীবী বাঘের মুখ থেকে ফরিল অসম লড়াই জিতে। তিনজনেই গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের আঘাত বেশ গুরুতর।
মোট পাঁচজন মৎস্যজীবী কুলতলির নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়েন একটি পেল্লাই বাঘ। নৌকা থেকে একজনকে টেনে নদীতে নামিয়েও নেয় বাঘটি। সেইসময় ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো দুরুহ হলেও নিজেদের জীবীন বিপন্ন করে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অন্য দুই মৎস্যজীবী। তিনজনে সম্মিলিতভাবে অসম লড়াই লড়তে শুরু করেন।
একসময় তিনজনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে রণে ভঙ্গ দেয় বাঘটি। তখন তিনজনেই পর্যুদস্ত। তবু জীবন থাকতে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে, সঙ্গীকে ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়নি। বাকি দু'জন নদী থেকে তিন আহত মৎস্যজীবীকে কুলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাঘের মুখ্য থেকে সঙ্গীকে বাঁচানোর এই লড়াই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল সুন্দরবনে। কিছুদিন আগে একইভাবে কাঁকড়া ধরার কাঁটা নিয়ে বাঘের সঙ্গে লড়ে সঙ্গীর জীবন বাঁচিয়েছিল অন্য মৎস্যজীবীরা।