পূজালিতে ঘাসফুল ঝড়, বিজেপি অধিকাংশ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে
একটা সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালিতেও কংগ্রেসের দাপট ছিল। এর আগে পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনে কংগ্রেসই জয়ী হয়েছে পূজালি পুরসভা ভোটে। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পালাবদল ঘটে।
একটা সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালিতেও কংগ্রেসের দাপট ছিল। এর আগে পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনে কংগ্রেসই জয়ী হয়েছে পূজালি পুরসভা ভোটে। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পালাবদল ঘটে। কংগ্রেসীরা একযোগে দলবদল করে রাতারাতি বনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। পুরসভাতেও হাত ছেড়ে ঘাসফুলের তেরঙা পতাকা উড়তে শুরু করে। দলবদল করে কাউন্সিলররা বলতে শুরু করেন, 'কংগ্রেসী ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত আমরা, আমরাই প্রকৃত কংগ্রেস।'
সেই পূজালিতে এবার ভোটযুদ্ধে কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করল তৃণমূল । ১৬ ওয়ার্ডের পূজালি পুরসভায় ১২টিতে জয়ী হয়ে পুরসভার দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, সন্ত্রাসের বাতাবরণে এখানে ভোট হয়েছে। তাই তৃণমূল জয়ী হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, যদি সন্ত্রাসের বাতাবরণেই ভোট হবে, তাহলে বাকি চারটি ওয়ার্ডে জয়ী হল কী করে বিজেপি ও কংগ্রেস?
দেখা গিয়েছে, এই পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। রাজ্য রাজনীতিতে এই ফলাফল অন্য ভাবনার অবতারণা করবেই। সেইসঙ্গে বামফ্রন্ট যে একটি আসনেও জিততে পারল না পুজালিতে, তাও বাম রাজনীতিকে অস্তিত্বহীনতার দিকে ঠেলে দেবে ফের। তাহলে কি দক্ষিণবঙ্গের লড়াই মূলত হয়ে উঠতে চলছে তৃণমূল বনাম বিজেপি? তা নিয়েই জোর আলোচনা রাজনৈতিক মহলে।
পূজালি পুরসভা ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানো হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বোমা-গুলির শব্দে স্বচ্ছ-অবাধ নির্বাচন হয়নি। সন্ত্রাস ছড়িয়ে, বুথ দখল করে ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে শাসক দল, এমনটাই অভিযোগ ছিল বামফ্রন্ট থেকে বিজেপি ও কংগ্রেসের। ফলাফলেও দেখা গিয়েছে, পূজালিতে ঝড় তুলে তৃণমূল ১২টি আসনে জয়ী। ২টি করে আসন পেয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস।